Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা এলএসডি গোডাউনের চাউল আত্মসাৎ করায় দুদকের মামলায় ৬ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৪:৪৫ পিএম

পাবনা ভাঙ্গুড়া উপজেলা এলএসডি গোডাউনের চাউল আত্মসাৎ করায় দুদকের দায়ের করা মামলায় ৬ জনের জামিন নামঞ্জুর কেরে পাবনা বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতের বিচার শেখ মোঃ নাসিরুল হক আসামীদের আজ বুধবার জেল হাজাতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, (১) জনাব মোঃ ওমর হোসেন, প্রাক্তন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (২) জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ, প্রাক্তন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (৩) মোঃ জয়নাল আবেদীন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (৪) মোঃ সাদাত হোসেন, প্রাক্তন খাদ্য পরিদর্শক (৫) মোঃ হুমায়ুন কবীর, খাদ্য পরিদর্শক (৬) মোঃ মনিরুল ইসলাম (বকুল) । মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায় , ভাঙ্গুড়া এলএসডি’র গত ২৭/০৬/২০১৬ তারিখে ১ম দফায় ৬নং গুদামের ৭টি খামালের মধ্যে ৩টি খামাল গননা/যাচাই করে ১৪০ বস্তায় ৭.০০০.মেঃ টন গম কম পাওয়া যায়। গমের উক্ত ঘাটতির জন্য ও/সি এল এস ডি, পরিতোষ কুমার সরকার এর বিরুদ্ধে বর্ণিত মামলাটি দায়ের করা হয়। অতপর গত ০৩/০৮/২০১৬ খ্রিঃ তারিখে অর্থাৎ ৮ দিন পর ৬নং গুদামের অবশিষ্ট ৪টি খামালে গননা/যাচাই করে খামাল নং-গ/০৭/৬০৫৬৭২ তে ১৪০ বস্তায় ৭.০০০ মেঃ টন গম বেশী দেখানো হয় যাতে পূর্বের কম হওয়া ৭.০০০ মেঃ টন গম সমন্বয় হয়। নিয়মানুযায়ী গত ৩০/০৬/২০১৬ তারিখে চঠজ-এ (বাৎসরিক বাস্তব প্রতিবেদনে) ৬নং গুদামে ৭৮৭.২৪৩ মেঃ টন ৩নং গুদামে ৫২৭.০০০ মেঃ টন মোট ১৩১৪.২৪৩ মেঃ টন গম ছিল। অর্থাৎ ৬নং গুদামের গ/০৭/৬০৫৬৭৭ নম্বর খামালে ২৪০০ বস্তায় ১২০.০০০ মেঃ টন গম ছিল যা সেন্ট্রাল লেজারে লিপিবদ্ধ ছিল, যাতে ও/সি, এল এস ডি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষর আছে। এর পর ১৭/১০/২০১৬ তারিখের মধ্যে উক্ত গুদামে আর কোন গম ঢুকানো বা বের করা হয়নি। সুতরাং ০৩/০৮/২০১৬ তারিখে ৬ নং গুদামের উক্ত খামালে ২৫৪০ বস্তায় ১২৭.০০০ মেঃ টন গম পাওয়া অর্থাৎ ১৪০ বস্তায় ৭.০০০ মেঃ টন গম বেশী পাওয়া অসম্ভব। এতে সন্দেহাতীত ভাবে প্রতীয়মান হয় যে, গত ২৬/৭/২০১৬ তারিখে খাদ্য গুদাম হতে বের করে নিয়ে যাওয়া গম যা জনসাধারণ কর্র্তৃক আটক করা হয়, যা আসামী জনাব পরিতোষ কুমার সরকার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ভাঙ্গুড়া এল এস ডি, পাবনা, (সাময়িক বরখাস্ত) ৩০০ বস্তায় ১৫.০০০ মেঃ টিন গম যার মূল্য ৪,২০,০০০/- টাকা আত্মসাত করে। অপর আসামীগণ অসৎ উদ্দেশ্যে রহস্যজনক কারনে ১ম দফায় (২৭/০৭/২০১৬ তারিখে) ৬ নং গুদামের ৩টি খামালে মালামাল গননা/যাচাই করে (সম্পুর্ন মালামাল গননা/যাচাই না করে) ৭.০০০ মেঃ টন গম কম পেয়ে পরিতোষ কুমার সরকার, ও/সি এল এস ডি, ভাঙ্গুড়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন। আবার ৮ দিন পর ২য় দফায় ০৩/০৮/২০১৬ তারিখে অন্যান্য গুদামসহ ৬নং গুদামের অবশিষ্ট ৪টি খামাল গননা/যাচাই করে ১৪০ বস্তায় ৭.০০০ মেঃ টন গম বেশী পাওয়া দেখিয়েছেন অর্থাৎ পূর্বের ঘাটতি পূরণসহ ঠিক যে পরিমান গম আত্মসাত করা হয়েছে ঠিক ততোটুকু বেশি দেখিয়ে আসামীকে অপরাধ হতে বাঁচানোর অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ পন্থায় লাভবান হওয়ার আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত কমিটির সদস্যগণ আইনের নির্দেশ অমান্য করে এবং ভুল রেকর্ড প্রস্তুত করে দন্ডবিধি ২১৭/২১৮/১০৯ ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ করা মামলাটি দায়ের করা হয়।

আসামীগণ আজ বুধবার পাবনার বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুদক

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
৪ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ