পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এমন শান্তশিষ্ট ছেলের কোনো শত্রু থাকতে পারে এ কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিহত শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মা রোকেয়া খাতুন। তিনি বলেন, ছেলে আবরার ফাহাদের কোনো শত্রু ছিল না। তাদের পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সমর্থক। ছেলের হত্যাকারিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। সোমবার সকালে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারছেন না এত মেধাবী ও শান্তশিষ্ট ছেলেটিকে কারা কী কারণে হত্যা করল।
বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই হলের নিচতলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
আবরারের বাবার নাম বরকতুল্লাহ। তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের নিরীক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন। মা রোকেয়া খাতুন একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবরার ফাহাদ বড়। ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সেও ঢাকা কলেজের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। বুয়েটের শেরে বাংলা হলের কাছেই তার হোস্টেল। কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের বাসার পাশেই তাদের বাড়ি।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১০ দিন আগে ছুটিতে দুই ভাই বাড়িতে আসে। এ মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত বাড়িতে থাকতে চেয়েছিলেন আবরার। তবে সামনে পরীক্ষা, তাই পড়াশোনার চাপ আছে একথা বলে রোববার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় আবরার। ছোট বেলা থেকেই আবরার অত্যন্ত মেধাবী। ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি পাস করেন আবরার। এইচএসসিতে ভালো ফলাফল করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হন আবরার। চান্স পেয়েছিলেন মেডিকেল কলেজেও।
ছেলে হত্যাকারিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে মা রোকেয়া খাতুন বলেন, রোববার সকালে আমি তাকে নিজে ঘুম থেকে ডেকে তুলি। সে ঢাকায় রওনা দেয়। মাঝে তিন থেকে চারবার ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে আমার কথা হয়। বিকেল ৫টায় হলে পৌঁছে ছেলে আমাকে ফোন দেয়। এরপর আর কথা হয়নি। রাতে অনেকবার ফোন দিয়েছি, ও আর ফোন ধরেনি।
ছোট ভাই আবরার ফায়াজ বলেন, ফোন না ধরায় আমি ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ভাইয়াকে নক করি। ভাইয়া সে সময়ও ফেসবুকে অ্যাকটিভ ছিল, তবে সাড়া দেয়নি। চাচা মিজানুর রহমান বলেন, আবরার ফাহাদ শিবিরের কর্মী বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা বানোয়াট, আবরার একজন উদারমনা ও প্রগতিশীল ছেলে। আমরা গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। হানিফ সাহেবের সব প্রোগ্রামে আমরা যাই। তবে আবরার তাবলিগে যেত। বুয়েটে ভর্তির পরও দুই তিনবার সে তাবলিগে গিয়েছিল।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে নিজের ফেসবুকে দুটি সমালোচনামূলক পোস্ট দেয় আবরার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।