পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেনাপোলে বোনের সহযোগিতায় ধর্ষণ করল পৌর ছাত্রলীগ নেতা। শ্রীপুরে দিনে দুপুরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সহোদর দুই বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। ময়মনসিংহে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করা হয়েছে। টঙ্গীতে শিশুকে ধর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে ধর্র্ষণ মামলায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বেনাপোল : বেনাপোলের বোনের সহযোগিতায় ভাইয়ের হাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী। গত শনিবার রাতে উপজেলার ভবেরবেড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার সকালে স্থানীয় কাগজপুকুর গ্রাম থেকে ধর্ষক সংগ্রাম হোসেন (২৫) কে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বেনাপোলের একটি বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। আটক ধর্ষক বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে। সে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের একজন সদস্য। তার মা একজন ক‚খ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ ও গ্রামবাসীরা জানান, ধর্ষিত স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষক সংগ্রামের বোন মুক্তা খাতুন ফুসলিয়ে বাড়িতে এনে তার ভাইসহ একটি কক্ষে ঢুকিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়। সেখানে সংগ্রাম তাকে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে পালিয়ে যায় সংগ্রাম। ঘটনার পরপরই ধর্ষিতার পিতা বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় ধর্ষকসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার সকালে কাগজপুকুর গ্রামে থেকে তাকে আটক করে। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, রোববার রাতেই ধর্ষিতার বাবা বেনাপোল পোর্ট থানায় সংগ্রামসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাকি ২ জনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
শ্রীপুর (গাজীপুর) : দিনে দুপুরে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সহোদর দুই বোনকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে গত সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল নির্যাতিতা বাদি হয়ে মামলা করলে রাতেই দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত দু’জন হলেন, রাজাবাড়ি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মো. নুরুর ছেলে মো. রাজ্জাক ও একই গ্রামের আকাব্বর আলীর ছেলে আজিজুল হক। গ্রেফতারের পর গতকাল তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্জাক ও আজিজুর বিভিন্ন সময় ওই দুই বোনকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। চলাফেরার সময় পথ আটকে তাদের অশ্লীল প্রস্তাব দিতেন রাজ্জাক ও আজিজুর। এ ছাড়া দুই বোনকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতেন তারা। এর সূত্র ধরে গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় একটি বাজারে যাওয়ার সময় ওই দুই বোনকে অস্ত্র দেখিয়ে রাস্তা থেকে তুলে নেন তারা। পরে রাজ্জাকের বাড়ির একটি ঘরে দুই বোনকে আটকে রাখা হয়। ওই ঘরেই দুই বোনকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করেন রাজ্জাক ও আজিজুর। ধর্ষণের দৃশ্য তারা মুঠোফোনে ভিডিও করে রাখেন। ধর্ষণের ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দুই বোনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে দ্বিধাদ্ব›দ্ব কাটিয়ে দুই বোনের একজন সাহস করে এ ঘটনায় গত শনিবার থানায় মামলা করেন। শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তারিকুজ্জামান জানান, মামলায় অভিযুক্ত দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার দুই বোনকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত শনিবার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন ধর্ষিতের মা। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার উত্তর সংড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো. জাকির মিয়া পাশের নালিতাবাড়ির উপজেলার এক তরুণীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে ওই তরুণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় সে। একপর্যায়ে গত সোমবার রাতে জাকির ওই তরুণীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে অটোবাইকে করে বেতকুড়ি গ্রামে পরিত্যক্ত সিরাজুল ইসলাম ওরফে বাবুল মাস্টারের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এর আগে কৌশলে ওই বাড়ির চাবি নিজের সংগ্রহে রাখে জাকির। পরে ওই তরুণীকে নিয়ে সে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা বেতকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে মিজানুর রহমান ও আব্দুল আজিজের ছেলে মনির হোসেন তাদের ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে তালা লাগিয়ে চলে যায়। পরে জাকির মিয়া পরিত্যক্ত ওই ঘরে তরুণীকে রাতভর ধর্ষণ করেন। হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
টঙ্গী : টঙ্গীতে মাদরাসা শিক্ষার্থী (১০) কে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন (৩৪) কে গ্রেফতার করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। গত শনিবার বিকেলে টঙ্গীর আরিচপুর শেরেবাংলা রোড এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীর মধুমিতায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া দশ বছর বয়সী ওই শিশু শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করতেন স্থানীয় সবজি বিক্রেতা আনোয়ার। ঘটনার দিন বিকেলে মাদরাসা ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে কাঁচা সবজি দেবার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে যায় আনোয়ার। পরে দোকানের পাশেই একটি কক্ষে শিশুটিকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে জানাজানি হলে গত শনিবার রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্ত আনোয়ার কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষণপাড়া থানার শ্যামনগর গ্রামের মো.শহিদ হোসেনের ছেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।