গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে অবস্থান নেন সম্রাট। সেখানে অবস্থানকালে শতাধিক সমর্থক তাকে পাহারা দিয়ে রাখেন। এরপর সম্রাটের অবস্থান নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায় সম্রাট তাদের নজরদারিতে আছেন। এরই মাঝে গত ২২ সেপ্টেম্বর সম্রাটের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তলব করা হয় তার ব্যাংক হিসাবও।
এ অবস্থায় গতকাল শনিবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে এক সহযোগীসহ সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকার কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তার অফিসে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, একজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
একই সঙ্গে শান্তিনগরে শেলটেক টাওয়ারের পঞ্চম তলায় সম্রাটের একটি বাসাতেও অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৩–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারোয়ার-বিন-কাশেম সাংবাদিকদের জানান, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে আটক করা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর আলোচনার আসে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ অনেকের ধারণা ঢাকায় ক্যাসিনো ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক সম্রাট। এছাড়াও সম্রাটের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।