বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতির কেনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। সেখানে ওইসব পণ্যের এত বেশি দাম উল্লেখ করা হয়েছে যে, যা বাজার মূল্যের চেয়ে কয়েকশ গুন বেশি। ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মূল্যের একটি সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্কের প্রতিটির দাম ৮৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে রূপপুর প্রকল্পের বালিশের চেয়েও পাঁচগুণ বেশি দামি বালিশ কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। এভাবে ১২ ধরনের সরঞ্জামের বাজার দরের সঙ্গে একটি তুলনামূলক ছক তৈরি করে সম্প্রতি প্রস্তাবটি ফেরত পাঠিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
মিলন খন্দকার তার ফেইসবুকে লিখেন, ‘যিনি বা যারা এই প্রস্তাবনাটি তৈরি করেছেন, তাদেরকে জাতির সমানে উপস্থাপন করা হোক। পাশাপাশি তাদের মেডিকেল টেস্ট নিয়ে জানা হোক তারা কি আদৌ সুস্থা আছেন ?’
‘এদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা এদেশের মানুষ জানতে চায়।’ - ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেন রফিকুল ইসলাম।
নাসির উদ্দিন খোকন লিখেন, ‘ক্যাসিনো অভিযানের ফাঁকে উনারা আসল কাজ সেরে নিচ্ছেন, কারন সরকারি চাকরিওয়ালারা দুর্নীতি করলেও তাদের শাস্তি হবে না তারা জানে। তাইতো রূপপুরে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়ে বালিশ কিনার পর এবার চট্টগ্রাম মেডিকেল বালিশের কভারের দাম ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। তবে এই সরকারের আমলে কিন্তু দুর্নীতি করার কোন সুযোগ নাই!’
‘লুটপাটের স্বর্ণ যুগ। যে যত পারেন লুটে নেন আওয়ামীলীগের ভাইয়েরা। কিয়ামত পর্যন্ত এ সুযোগ পাবেন না আর।’ - এমডি মহিদুল ইসলাম দিপুর মন্তব্য।
বিস্ময় প্রকাশ করে গাজী মাহবুব লিখেন, ‘রেকর্ডের রেকর্ড ভঙ্গ! ১৫ টাকার টেস্টটিউব ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার টাকা, ২০ টাকার হ্যান্ড গ্লাভসের দাম ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মূল্যের একটি সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্কের প্রতিটির দাম ৮৪ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এরপর হয়তো শুনবো বালিশের কভারের রঙ পছন্দ করা বাবদ কত টাকা খরচ হয়েছে।’
‘অনিয়ম যেন আমাদের আষ্টেপিষ্ঠে জেঁকে বসেছে। প্রতিবাদ না করে আমরা নিজেরাও ফায়দা নেওয়ার তালে। কেয়ামতের দিবসে প্রত্যেকে তার কৃতকর্মের জন্য জিজ্ঞাসিত হবে। সেদিন কোন তেলেই কোন কাজ হবে না। বিষয়টা ভাবা জরুরী।’ - লিখেছেন ওয়াহিদুর রহমান।
শান্তা আক্তার লিখেন, ‘এতো দেখি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পকেও হার মানিয়েছে! সামনে আর যে কত কি দেখতে হবে সেটা মহান আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।’
উল্লেখ্য, সার্জিক্যাল ক্যাপ ও মাস্ক ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্য যেসব সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব করেছে, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ৫৪ ইঞ্চি আকারের একটি সাদা গাউনের দাম ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা, যার বর্তমান বাজারদর সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা। ২২ ইঞ্চি বাই ৩৬ ইঞ্চি আকারের কটন টাওয়েলের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৮৮০ টাকা, যার বাজার মূল্য মানভেদে ২৫০ থেকে এক হাজার টাকা। ৫৪ ইঞ্চি আকারের একটি রেক্সিনের দাম ধরা হয়েছে ৮৪ হাজার টাকা, যার বাজারদর ৩শ থেকে ৫শ টাকা। ৫৪ ইঞ্চি আকারের রাবার ক্লথের দাম ধরা হয়েছে ১০ হাজার টাকা, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫শ’ থেকে ৭শ’ টাকা। ২০ থেকে ৫০ টাকার ডিসপোজাল সু কভারের মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। সাড়ে সাতশ থেকে ২ হাজার টাকার বালিশ ২৭ হাজার ৭২০ এবং পাঁচশ’ থেকে পনেরশ’ টাকার বালিশের কভারের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।