ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে’ চলমান আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে মানববন্ধন করেছে ভিসির অনুগত শিক্ষকরা। অন্যদিকে ভিসির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পদত্যাগের দাবিতে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালন করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব কর্মসূচী পালিত হয়। আন্দোলনকারীদের বাধার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কোন বাস ক্যাম্পাসের বাহিরে যেতে পারেনি। যার কারণে ঢাকা থেকে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে আসতে না পারায় বেশিরভাগ ক্লাস নেওয়া বন্ধ ছিল। এতে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম। এসব কর্মসূচীর কারণে কার্যত অচল হয়ে পড়ে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম।
এ ব্যাপারে চলমান আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, ‘আমরা ভিসিকে ১ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন পদত্যাগ করবেননা। এখন আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে অপসারণ করব। আজকের মতো কালও সর্বাত্মক ধর্মঘট চলবে। এরপর আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ এদিকে ভিসির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যায়িত করে মানববন্ধন করেছে শিক্ষকদের একাংশ। ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার পাদদেশে বেলা ১১টায় তারা এই মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘আন্দোলন আর চক্রান্ত দুইটা দুই জিনিস। আমি মনেকরি আন্দোলন হলে আলোচনাও হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। আলোচনায় না গিয়ে আন্দোলন করলে তা চক্রান্তই বলা যায়।’ মানববন্ধনে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদে’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে ‘তদন্ত কমিটি’র জন্য ভিসি আলোচনায় বসলেও তারা উল্টো পদত্যাগ দাবি করে। এতেই প্রমাণিত হয় এই আন্দোলনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে।’ ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদে’র সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধাগ্রস্ত করতে একটি মহল অযৌক্তিক আন্দোলন করছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো অযৌক্তিক আন্দোলন সফল হবে না।’ মানববন্ধনে অধ্যাপক এ এ মামুন, অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী, অধ্যাপক হানিফ আলী, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক রাশেদা আখতার, অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার সহ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম আন্দোলনকারীদের দাবিকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।