গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অনলাইনভিত্তিক ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধান। ঢাকার অপরাধ জগতের ডন তিনি। পশুর খাটালে চাঁদাবাজি, হোটেল, স্পা, ক্যাসিনো পরিচালনাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় বিমান থেকে তাকে নামিয়ে আনা হয়।
সেলিম প্রধানকে আটকের পর আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে তার আরেকটি বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় সেলিমের সহযোগী আক্তারকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২১ লাখ ২০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাসেম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব সদস্যরা জানান, উদ্ধার হওয়া এসব কম্পিউটার দিয়েই অনলাইনে ক্যাসিনো চালাতেন সেলিম প্রধান।
এর আগে সোমবার রাতে গুলশান-২ এর ১১/এ রোডে সেলিম প্রধানের বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদ, নগদ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা জব্দ করেছে র্যাব।
সেলিম প্রধান গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার অপরাধ সম্পর্কে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের অনলাইনের মাধ্যমে ক্যাসিনো ব্যবসা চালাতেন সেলিম। অনলাইনে কয়েন বিক্রি করে এই ক্যাসিনো চালানো হতো। এসব করে কামিয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা।
সেলিম প্রধান ঋণ খেলাপি। সূত্র বলছে, সেলিম প্রধান রূপালী ব্যাংক থেকে ১০০ কোটি টাকা লোন নিয়েছেন। তার বাবার নাম হান্নান প্রধান। ঢাকার মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে তার বাসা। তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
সেলিম প্রধানের ব্যাংককের পাতায়ায় বিলাসবহুল হোটেল, ডিসকো বারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। থাইল্যান্ডের পাতায়াতেও রয়েছে তার ক্যাসিনো ব্যবসা।
সূত্র জানায়, রাজধানীর বিভিন্ন স্পা ও বিউটি পার্লার যেখানে ভিআইপিদের আসা-যাওয়া রয়েছে, সেগুলোতে নারী সরবরাহের কাজ করতেন সেলিম। সেই মেয়েরা ভিআইপিদের বিনোদন দেয়ার কাজ করতেন। সিলেট থেকে অবৈধভাবে পাথর নিষ্কাশনের কাজ করতেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।