বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারত রপ্তানী নিষিদ্ধ করার একদিন পরই বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের এমন একতরফা সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, কেজি প্রতি ৮০ টাকায় যে পেঁয়াজ রবিবার ঢাকার বাজারে বিক্রি হয়েছে, সোমবার তা অনেক বাজারে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মূলত পেঁয়াজের দাম গত এক মাসে দ্বিগুণ হয়েছে বাংলাদেশে। আর এসবই হয়েছে ভারত কয়েক দফায় পেঁয়াজ রপ্তানীতে বিধিনিষেধ আরোপ করার পর থেকে।
পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় মো. ইমান খান লিখেছেন, ‘‘যদি সরকার বলে দেয় আমরা কোনো দিন ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি করবো না দুই বছরের মধ্যে পেঁয়াজ স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে যেমন টা হয়েছিল ভারত যখন বাংলাদেশকে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের কিছু যাই আসিনি বাংলাদেশ এখন গরু নিয়ে ভারতের নির্বরতা করে না। এভাবে ভারত সব কিছু রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও বাংলাদেশ কিছু যাই আসবে না সাময়ীক কষ্ট হলেও পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমদানির করার জন্য ভারত ছাড়া আরো অনেক দেশ আছে।’’
‘‘আগে পেঁয়াজ কাটলে চোখ জ্বলতো,এখন কেনার সময়ই জ্বলে দিল! কি মুশকিল,কি মুশকিল’’ লিখেছেন আবদুল আলিম।
এম মিনহাজ লিখেছেন, ‘‘পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। ভারত যখন গরু দেওয়া বন্ধ করেছিল তখন অনেকে ভেবেছে এবার বাংলাদেশ বিপদে পড়বে কিন্তু দেখেন আমাদের দেশে সেই শিল্প গড়ে উঠেছে। ঠিক তেমনি ভাবে পেঁয়াজেও নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।’’
জায়েদ মিহি লিখেছেন, ‘‘আগে থেকে মজুদ করা পেঁয়াজের দাম ১ দিনে ৭০- ১০০ টাকা হয়ে যাওয়া মানে চরম মাত্রার মুনাফাখোরি।
সেই সাথে সিন্ডিকেটের কাছে সরকারের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে। এদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা উচিত।’’
‘‘এই সরকার এদেশের মানুষকে আর কত কষ্ট দেবে ? কৃষক কোন দিকে যাব। এই পেঁয়াজের দামের জন্য একবার মিছিল করতে হয় , আবার এই পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে কিনে খেতে হয় । হায়রে সোনার দেশ বাংলাদেশ’’ মহিদুল ইসলাম।
মির্জা গালিব লিখেছেন, ‘‘একটা পন্য আমদানির নিষেধাজ্ঞায় বাজার মহামারী আকার ধারণ করেছে। তাহলে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে গলা ফাটনোর কি আছে?’’
মুন্তাসির ইমরান লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশে এখন পেঁয়াজ সোনার হরিণ বললেই চলে,, ১৩০ টাকা মূল্যে দেশের উপজেলা ভিত্তিক বাজার সমূহ। গ্রামের কতজন মানুষের সাধ্যে আছে এই দামে পিঁয়াজ কিনা? তারা এখন পিয়াজের ধারে কাছেও নেই,,যাদের সাধ্যে আছে তারাও রীতিমতো চিন্তিত।’’
‘‘ইন্ডিয়া ছাড়া অনেক দেশ থেকে তো পিয়াজ আমদানি করা সম্ভব,,, বিকল্প দেশ হাতে রাখলে ওরা যখন তখন রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে না’ মন্তব্য মনিরুল ইসলাম মিল্টনের।
শেখ হাবিব লিখেছেন, ‘‘ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্থায়ী ভাবে বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশ এর উচিৎ বিকল্প বাজার খোঁজা। একক দেশের উপর নির্ভরশীল হওয়া যেকোনো দেশের জন্য বিপদজনক।’’
মুস্তাফা শাকির লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতকে ৫০০ মেট্রিক টন ইলিশ উপহার দিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে আজ বাংলাদেশকেও পাল্টা উপহার দেয়ার দুটা সংবাদ পেলাম।‘পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল ভারত’,‘সীমান্তে বাংলাদেশীকে গুলি করলো বিএসএফ’।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।