Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানুষরূপী নরপশুর লালসার শিকার ৪ বছরের শিশু

মিল শ্রমিকসহ ধর্ষণের শিকার ২

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জে মিল শ্রমিককে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। অন্যদিকে গাইবান্ধায় ঘরে ঢুকে ধর্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে প্রথম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে। পিরোজপুরের নাজিরপুরে এক মানুষরূপী নরপশুর লালসার শিকার হয়েছে ৪ বছরের এক শিশু।

আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক মিল শ্রমিককে ধর্ষণ করে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে এক বখাটে। গত শুক্রবার রাতে নির্যাতিত নারী অভিযোগ দিলেও শনিবার মামলাটি এজহার ভুক্ত করা হয়।

ধর্ষিতা জানায়, তার বাড়ী উপজেলার ছোট ফাউসা গ্রামে। সে লেঙ্গুরদী ওয়েজ বাংলা ব্যাগ ফ্যাক্টরীর শ্রমিক। তার সাথে ডিউটিতে যাতায়াতের পথে পরিচয় হয় রূপগঞ্জের হোরগাঁও গ্রামের নজরুল ইসলামের বখাটে ছেলে রকিব (২৩) ও তার বন্ধু আড়াইহাজার উপজেলার ইদবারদী গ্রামের সুজন (২৫) এর।

এরই মধ্যে ধর্ষিতাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুজনের বাড়ীতে নিয়ে একাধিকবার শারিরিক মেলামেশা করে রকিব। পরে ওই ঘটনার ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে রকিব।

সর্বশেষ গত বৃহষ্পতিবার রাতে ধর্ষিতাকে সুজনের বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণ করে সে এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ধর্ষক রাকিবকে সহযোগিসহ গ্রেফতার করে। পরে পুলিশ রহস্যজনক কারণে ১ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুর ১টায় মামলা রেকর্ড করেন। ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, ধর্ষক তাকে খারাপ কাজ করতে না দিলে বিভিন্ন সময় মারধর করতো।

আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামে প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া ছাত্রী (৭) ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনার বর্ণনা শুনে নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিস্মিত হলেন। গতকাল (শনিবার) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মামলার বাদী মেয়ের মা মোছা: মনিরা বেগম জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টা দিকে আমার মেয়ে ঘরে বসে লেখাপড়া করার সময় ইয়াসীন আলী (৩০) আমার ৭ বছর বয়সী মেয়েটিকে ঘরের ভিতর ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলে ইয়াসীন পালিয়ে যায়। এব্যাপারে থানায় মামলা করা হলে একই গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্র ইয়াসীন আলী কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়। এর পর থেকে আসামীর পক্ষে লোকজন মামলা তুলে নিতে হুমকী দেয়। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার ঘটনার বনর্না শুনে মামলার চুড়ান্ত চার্জশীট দিতে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

নাজিরপুর (পিরোজপুর) : নাজিরপুর উপজেলায় মাটিভাংগা ইউনিয়নে ৪ বছর বয়সী এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুকে প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নাজিরপুর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে নাজিরপুর উপজেলার এক দিনমজুরের শিশু মেয়েটিকে ঐ গ্রামের জুলহাস শেখের পুত্র মো. সুজন শেখ তার দাদীর উত্তর ভিটির টিনের চৌতলা বসত ঘরের মাজখানে চৌকির উপরে ফেলে তার হাতের আঙ্গুল একাধিকবার ঢুকিয়ে যৌনাঙ্গ জখম করে এবং জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। শিশুটির মা নাজিরপুর থানায় এজাহারে অভিযোগ করেন আমার বড় মেয়ে (৭) এবং ভিকটিম ছোট মেয়ে (৪) আমাদের প্রতিবেশী মাজেদা বেগমের বাড়ীতে যাওয়ার সময় আমার বড় মেয়ে একটু অগ্রসর হয়ে মাজেদা বেগমের বাড়ীতে চলে যায়। আমার মেজ মেয়ে (৪) ভিকটিম পিছনে পড়লে ঐ কিশোর ধর্ষক বাদীর ঘরের সামনে পৌছাইলে আমার মেয়েকে ভিকটিম (৪) ডাব নারকেল খাওয়ানোর লোভ দেখাইয়া ঘরের ভিতর নিয়ে চৌকির উপর ফেলে কয়েক বার ধর্ষন করে। মেয়েটির ডাক চিৎকার ও কান্না করিলে স্থানীয় লোকজন উপস্থিত হলে ধর্ষক তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় শিশুটির মা শিশুটিকে প্রথমে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুটির মা বলেন আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। আমরা গরিব মানুষ আমি এর বিচার চাই। ঐ ছেলে এর আগেও একটি মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, ছেলের চরিত্র ভাল না। নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: ইসমত আরা জাকিয়া কে মুঠো ফোনে কয়েকবার ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে হাসপাতালের কর্মকর্তা রতন কুমার ঢালী ফোনে জানান বিষয়টি শুনেছি। ধর্ষন জনিত ঘটনা কিনা জানিনা তবে একটি শিশু ভর্তি হয়েছে এটা জানি এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম মুনির বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতার করেছি এবং তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। ধর্ষণের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ