Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলোচনার প্রধান প্রতিবন্ধকতা যুক্তরাষ্ট্র নিজেই : রুহানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:৩৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান শেষে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা নিজেরাই আলোচনার পথে প্রধান অন্তরায়। অধিবেশন শেষে গতকাল শুক্রবার তেহরানে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তিপূর্ণ ও সঠিক অবস্থানে থাকার কারণে আলোচনা করতে ইরান ভয় পায় না।
২০১৫ সালের জুনে ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন (পি-ফাইভ) ও জার্মানি (ওয়ান) পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান। ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ‘ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল’ আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে যাচ্ছে তেহরান।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৪তম বার্ষিক অধিবেশনে ভাষণ দেন। সেখান থেকে তেহরানে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরানের ওপর যতোক্ষণ সর্বোচ্চ চাপ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপিত থাকবে ততোক্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংলাপে বসবে না তেহরান। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের অবকাশে বিশ্বের বহু শীর্ষ নেতার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি এমন কোনও রাষ্ট্রপ্রধান পাইনি যিনি পরমাণু সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়া ও তেহরানের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা জানাননি।’ তিনি বলেন, শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের সঙ্গে আমেরিকার বিদ্বেষী ও নিপীড়নমূলক আচরণ এবং তেহরানের সঠিক অবস্থানের বিষয়টি সব দেশকে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো প্রতিশ্রুতি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এবারের ঘোষণায় দেশটির পারমাণবিক গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার ওপর আরোপিত সব ধরনের সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এ সময় ফ্রান্সসহ অনেক দেশ ইরানকে ওই পরমাণু চুক্তি সম্পূর্ণভাবে মেনে চলার আহ্বান জানায়। তৃতীয় দফা প্রতিশ্রুতি কমানোর ঘোষণার পর তেহরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ অংশ হিসেবে প্রথমে ইরানের বিপ্লবী গার্ড সংশ্লিষ্ট তেল পরিবহন নেটওয়ার্ক ও পরে দেশটির ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রুহানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ