নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বৈঠকের বিনিময়ে ইরানের ওপর থেকে সবধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিষয়টি ইরান দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন থেকে ফিরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এমন দাবিই করেছেন। খবর রয়টার্সের।
ইউরোপীয় নেতাদের কাছে পাঠানো এক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র ওই প্রস্তাব দিলেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় ইরান তাতে সাঙা দেয়নি বলে জানান তিনি।
ইরানি প্রেসিডেন্ট জানান, জাতিসংঘের অধিবেশনের মধ্যে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক আয়োজনে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স চেষ্টা করেছিল।
রুহানি বলেন, নিউইয়র্কে জার্মান চ্যান্সেলর, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওই বৈঠকের ব্যাপারে চাপ দিয়েছিল; আর যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল তারা সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। এটা নিয়ে তর্ক বিতর্ক চলছিল যে কোন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তখন স্পষ্টভাবে বলেছে যে সব নিষেধাজ্ঞাই তুলে নেয়া হবে।
নিউইয়র্কে অবস্থানকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি কোনও বৈঠক করবেন না বলে ইরানের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল।
এদিকে ইউরোপের সরকারগুলোর ওপর আর বিশ্বাস রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
বৃহস্পতিবার তেহরানে ইরানের বিশেষজ্ঞ পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয়রা নিজেদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেখাচ্ছে। ভালো ভালো কথা বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু সেসব ফাঁকা বুলি। পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর ইউরোপ ১১টি প্রতিশ্রুতির একটিও রক্ষা করেনি।