বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে টানা এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে রাজবাড়ীর জৌকুড়া ও পাবনা জেলার নাজিরগঞ্জ নৌরুটের ফেরি চলাচল। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে পার হচ্ছে মানুষ।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে জৌকুড়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী থেকে পাবনা জেলার যাত্রীরা ঘাট এলাকায় বসেন আছে ট্রলারের আশায়। এ সময় পাবনা জেলার বাসিন্দা নজর মওলা বলেন, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় সবচেয়ে ভোগান্তি হচ্ছে আমাদের। প্রতি এক ঘন্টা পরপর ট্রলার ছেড়ে যাচ্ছে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ট্রলারগুলো ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যে কোন সময়ে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
জৌকুড়া ও নাজিরগঞ্জ নৌরুটের তত্ত্বাবধানে থাকা রাজবাড়ীর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়,
এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে দুটি ফেরি, দুটি লঞ্চ ও ১০ থেকে ১২ টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার। এই নৌযানগুলো দিয়ে প্রতিদিন, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তত ১৫ হাজার মানুষ ও যানবাহন পারাপার করা হয়। কার্যালয়টি আরো জানায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে গত রবিবার থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল।
জৌকুড়া ঘাটের ইজারাদার মোস্তফিজুর রহমান শরিফের প্রতিনিধি মোঃ সোহেল রানা জানান, এই নৌপথে চলাচলকারী ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে গত শনিবার থেকে। এই নৌপথে যে ফেরি দুটি রয়েছে তা অত্যন্ত পুরাতন হয়েছে। সামান্য স্রোতেও চলতে সমস্যা হয়। আর এখন তো নদীতে প্রচণ্ড ¯্রােত যে কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই ঘাটটি বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পরেছে পন্যবাহি ট্রাকের চালকের। তাদের কুষ্টিয়া জেলা হয়ে পাবনায় যেতে হচ্ছে। এতে অন্তত ২০০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে যেতে হচ্ছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাজবাড়ীর নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির ফলে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি চলাচল। পদ্মার পানি কমে গেলে ও স্রোতে কমে গেলে শুরু হবে ফেরি চলাচল। এ ব্যপারে জন সাধারণের ভোগান্তি কমাতে ঘাট বন্ধের একটি গন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।