Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাতির নিরাপত্তায় বন্দুকধারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১:০৬ পিএম

শ্রীলঙ্কায় বিত্তশালীদের মধ্যে হাতি পোষার রীতি বেশ জনপ্রিয়। তবে পশুপ্রেমীদের দাবি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যথাযথ যত্ন নেওয়া হয় না পোষ্য হাতিদের। তবে, ভিআইপি-এর তকমা পাওয়া রাজার নামের হাতিটির ক্ষেত্রে ব্যাপার-স্যাপার রাজকীয়। নামের মতোই তার চালচলনও রাজকীয়। দশাসই চেহারার রাজা যখন দুলকি চালে রাস্তা দিয়ে যান, সকলে হাত তুলে প্রণাম করেন। এহেন রাজকীয় চাল যার, তার সুরক্ষার বিষয়ে তো সতর্ক হতেই হবে! তাই রাজাকে ঘিরে সবসময়ে থাকে সশস্ত্র দেহরক্ষীর বলয়।

প্রায় সাড়ে ১০ ফুট লম্বা রাজা শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে লম্বা পোষা হাতি। যার নিরাপত্তার খাতিরে এ.কে ফর্টিসেভেনধারী দেহরক্ষীর রেখেছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন। তবে, হাতি হলেও কোনো ভিআইপি-এর থেকে রাজার গুরুত্ব কনো অংশে কম নয়।

হাতিটির পুরো নাম নাদুগামুওয়া রাজা। শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় মন্দিরগুলোতে পুরোহিতদের প্রথম পছন্দ বিশাল এই দাঁতাল হাতি। তাই প্রতিদিনই কোনো না কোনো মন্দিরে 'ডিউটি'তে যেতে হয় রাজাকে। শুধু তাই নয়, প্রতি বছর 'এসালা' বৌদ্ধ অনুষ্ঠানের সময়ে বুদ্ধের দেহাবশেষ বহনের গুরুদায়িত্ব থাকে রাজার কাঁধে। সেই সময়ে প্রায় ৯০ কিলোমিটার হেঁটে কান্দি-এর বৌদ্ধ মন্দিরে পৌঁছে যায় রাজা।

এতো নিরাপত্তা দেওয়ার পিছনে একটি কারণও আছে। ২০১৫ সালে সেপ্টেম্বরে এক মোটরসাইকেল আরোহী আর একটু হলেই রাজাকে ধাক্কা দিতে বসেছিলেন। সেই বার অল্পের জন্য বেঁচে যায় রাজা। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তারপর সঙ্গে সঙ্গে চার-পাঁচ জন সশস্ত্র দেহরক্ষীর ব্যবস্থা করা হয়। সেই সময় থেকে যখনই রাজা রাস্তায় বের হয়, তাকে ঘিরে থাকেন চার রক্ষী।

সূত্র: জিনিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রীলঙ্কা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ