Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের ভবিষ্যত পুরো বিশ্বের সঙ্গে জড়িত

চীনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনের ভবিষ্যত এবং ভাগ্য পুরো বিশ্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। চীন দৃঢ়তার সঙ্গে যেকোন আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করেছে। গতকাল বুধবার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠার ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
লি জিমিং বলেন, শক্তিশালী বা দুর্বল, ধনী বা গরিব, বড় বা ছোট সমস্ত দেশ সমান এবং তাদের মধ্যে মতপার্থক্য ও বিরোধগুলি শান্তিপূর্ণভাবে সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। তিনি বলেন, ৭০ বছর আগে চেয়ারম্যান মাও সেতুং তিয়ানমিয়ান স্কোয়ারে দাঁড়িয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই থেকে চীনা জনগণ উঠে দাঁড়িয়েছে। তার আহ্বানে চীনা জাতি নিজ দেশ ও ভাগ্যকে নিজের হাতে গড়তে শুরু করে। সেই দিন চীনারা সময়ের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, সময়কে নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে একটি উল্লেখযোগ্য যাত্রা শুরু করে।
লি জিমিং বলেন, ৭০ বছর ধরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শক্তিশালী নেতৃত্ব ও লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে চীনের জনগণ উঠে দাঁড়াতে শুরু করে, ধনী এবং শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, চীন উন্নয়নের জন্য একটি পথ সৃষ্টি করেছে যা তার নিজস্ব জাতীয় অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। চীনা বৈশিষ্ট্য হলো সমাজতন্ত্রের পথ, যার সারমর্ম হলো চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বকে সমর্থন করা এবং উন্নতি করা। এটি ইতিহাস এবং জনগণের সঙ্গে সময়ের একটি মেলবন্ধন, যা সবাই পছন্দ করেছে।
চীনা রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ৭০ বছর পরে চীন অবিস্মরণীয় পরিবর্তন করেছে। বিশ্ব-স্বীকৃতি অর্জন করেছে। আমাদের বিস্তৃত জাতীয় শক্তিতে ঐতিহাসিক অগ্রগতি হয়েছে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান, খাদ্য ও পরিধান যথেষ্ট সমৃদ্ধ হয়েছে। চীনের মাথাপিছু জাতীয় আয় এই বছরের শেষের দিকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আরও বেশি পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লি জিমিং বলেন, ৭০ বছরে চীন সর্বদা তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব, সুরক্ষা এবং উন্নয়নের স্বার্থকে রক্ষা করেছে এবং সব ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। চীন সরকারের জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের অখন্ডতা রক্ষার আত্মবিশ্বাস এবং ক্ষমতা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর ও দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। চীনের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের প্রেসিডেন্টের শক্তিশালী নেতৃত্বে উভয় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ