পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়েকদিন থেকে দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু টাকা। ক্লাব-ক্যাসিনো ও বাসাবাড়ীর লকারে মিলছে কোটি কোটি টাকা। রাজনৈতিকভাবে পরিচিত নেতারা নগদ টাকাসহ আটক হচ্ছেন। ক্যাসিনোর ডামাডোলের মধ্যে অপরিচিত এরশাদ আলী নামে ২৫০ কোটি টাকা ঋণের খোঁজ পাওয়া গেছে। ৫টি ব্যাংক থেকে এই অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তিনি লাপাত্তা। অর্থআদায়ে এবি ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় তিনি পরোয়ানাভুক্ত আসামী।
বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ৪টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বমোট ২৫০ কোটি টাকা নিয়েছেন রড-সিমেন্ট খাতের ব্যবসায়ী এরশাদ আলী। এরশাদ ব্রাদার্স কর্পোরেশনের নামে তিনি এবি ব্যাংকের কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংকিং শাখা থেকে নিয়েছেন ১৫০ কোটি টাকা। ব্র্যাক থেকে নিয়েছেন ১৫ কোটি ৫ লাখ, সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৬ কোটি টাকা। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান ফোনিক্স ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট থেকে নিয়েছেন আরও ২৯ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও দুয়েকটি ব্যাংকে তার নামে ঋণ আছে বলে জানা গেছে।
এবি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে তিনি এবি ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং শাখার গ্রাহক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ব্যাংক থেকে পর্যায়ক্রমে ঋণ নিয়েছেন। মাঝে মধ্যে পরিশোধও করেছেন। ২০১৭ সালের পরই তিনি খেলাপি হয়ে যান। খেলাপির খাতা নিজের নাম কাটাতে ওই বছর দুইবার পুনঃতফসিল করেন। পুনঃতফসিল করার পর অন্যান্য ব্যাংক নতুন করে ঋণ নেন। তার কাছে এবি ব্যাংকের মোট পাওনা ১৪৭ কোটি টাকা, যা পুরোটাই খেলাপি। তার কাছে পাওনা আদায়ে চিফ মেট্রোপলিট্রন আদালতে এনআই অ্যাক্টে ৪টি মামলা করেছে এবি ব্যাংক। এর মধ্যে একটি মামলায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। ১৭ সেপ্টেম্বর আরেকটি মামলায় তার জামিন বাতিল করা হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে আটকের চেষ্টা করছেন ধানমন্ডি থানা পুলিশ। গত সোমবার রাতে তার ধানমন্ডির বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, এরশাদের নামে ওয়ারেন্ট থানায় এসেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
এবি ব্যাংকের এমডি তারিক আফজাল বলেন, ব্যাংকের টাকা যে নিয়েছেন তাকে অবশ্যই টাকা ফেরত দিতে হবে। বারবার তাগাদা দিলেও এরশাদ আলী টাকা ফেরত দেননি। তাই আদালতে মামলা করা হয়েছে। টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে ব্যাংক।
এরশাদ ব্রাদার্স কর্পোরেশনের মালিক এরশাদ আলীর বাড়ী রাজশাহীর বোয়ালিয়ার রানীনগরে। বাংলামোটরের নাসির ট্রেড সেন্টারের লেভেল-৪ এ তার অফিস। ধানমন্ডির ৭/এ নিজস্ব বাসায় তিনি থাকেন।
তার সঙ্গে কথা বলতে তার মোবাইলে কল দিলে একজন নারী তা রিসিভ করে এরশাদ আলী বাসায় নেই বলে জানান। তবে ওই তার পরিচয় দেননি। কিছুক্ষন পর জাকির হোসেন নামে একজন ফোন দিয়ে বলেন, তিনি এরশাদ ব্রাদার্সের ম্যানেজার। চেয়ারম্যান সাহেব ভীষণ অসুস্থ্য।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।