গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রদলের ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শ্যামল। ঘটনায় ছাত্রদল নেতাদের ব্যবহৃত একটি বাইক, মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে ছাত্রদল। অন্যদিকে ছাত্রলীগের হামলায় এক সাংবাদিক মারাত্মক ভাবে আহত হন এবং তার মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় সনজিতের অনুসারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার সময় ক্যাম্পাসের হাকিম চত্বরে মাই টিভিতে সাক্ষাৎকার দিতে আসেন ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক। এসময় ৭-৮ জন নেতাকর্মী নিয়ে সনজিত ছাত্রদল নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর ছাত্রদল টিএসসিতে চলে আসলে সনজিতের অনুসারী ৫০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রদলকে মারধর করে।
এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করার সময় ছাত্রলীগের হামলায় কমপক্ষে ৩ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এরমধ্যে স্টুডেন্ট জার্নালের বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার আনিসুর রহমানের কান ফেটে যায়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এ সাংবাদিকদের মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যান।
ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ইনকিলাবকে বলেন, ছাত্রলীগের ঢাবি সভাপতি সনজিতের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের মোবাইল ও বাইক ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয় হয়। আমরা এর বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সনজিত চন্দ্র দাসকে ফোন দেয়া হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।