Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমলাদের স্বেচ্ছাচারিতা সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে

তৈমুর আলম খন্দকার | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

হজ্জ পালন উপলক্ষে পবিত্র মক্কায় থাকাবস্থায় ড. মীজানুর রহমান শেলীর মৃত্যু সংবাদ পাই। সে দিন বাংলাদেশে ঈদুল আজহার দিন ছিল। বাংলাদেশ সরকারের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালক থাকাবস্থায় ১৯৭৭ সালের দিকে ড. মীজানুর রহমান শেলীর সাথে পরিচয়, পরে ঘনিষ্ঠতা। স্বাধীনতার পূর্বে অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে সমাজকল্যাণ প্রভাতী সংসদের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জে প্রথম নৈশ বিদ্যালয় চালু হয়েছিল, যাতে বয়স্ক ছাড়াও কর্মজীবী শিশু/কিশোরদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা দেয়া হতো। পরে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সমাজসেবক ও শহরের যুব সমাজের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অনুরূপ স্কুল গড়ে উঠে, যার জন্য তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে মাসিক ১০০/- টাকা অনুদান প্রদান করা হতো। ১৯৭১ সালের পর স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শহর/শহরতলীতে স্থানীয় উদ্যোগে ১৯টি স্কুল চালু হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে স্কুলগুলির প্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পৌরপ্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত হয় ‘কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংস্থা’। সংস্থার মূল তহবিল সরকারের অনুমোদনে পৌরসভা প্রদান করতো।

স্বাধীনতার পর নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম প্রশাসককে পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান (পৌর চেয়ারম্যান/প্রশাসক পদধিকার বলে সভাপতি) ও আমাকে অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। উক্ত কমিটি অবৈতানিক সেক্রেটারি হিসাবে নিরক্ষরতা দূরীকরণ কার্যক্রমকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য ১৯৭৭ সালে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক ড. মীজানুর রহমান শেলীর সাথে পরিচয়, কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠতায় তার কর্মতৎপরতা সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়। আমরা সাধারণত: ইংরেজি তারিখ ব্যবহার করে তারিখ লিখার পর ইং লেখি বা বাংলা তারিখ লিখে বাংলা বা বাং লিখি, কিন্তু এর পরিবর্তে ড. শেলী ইংরেজি তারিখের পরে লিখতেন খ্রিস্টাব্দ বা খ্রি.। এ ধরনের অনেক ব্যতিক্রম বিষয়াদি তার দৈনন্দিন কর্মকান্ডে পাওয়া যেতো। আমাদের আমন্ত্রণে তিনি সমাজ সেবা অধিপ্তরের পরিচালক হিসাবে দু’ বার নারায়ণগঞ্জে আসেন। ১৯৭৭-৭৮ সালে একবার এসেছিলেন কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংস্থা পরিচালিত নৈশ বিদ্যালয়গুলি পরিদর্শনে, অন্যবার এসেছিলেন শহরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত গোগনগর সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি নৈশ বিদ্যালয় উদ্বোধন করার জন্য। যে কোন কাজ অযাচিত ত্রæটি ধরা বা ঘুষ না পেলে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার মধ্যে আমলাতন্ত্র সম্পর্কে গণমানুষের একটি বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে, যদিও ব্যতিক্রম যা আছে, তা হাতে গোনার মতো নয়। দিনে দিনে প্রেক্ষাপট এমনিভাবে সৃষ্টি হয়েছে যে, জনগণের অর্থে চালিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে সরকারি চেয়ারে বসা জনগণের বেতনভুক্ত কর্মচারীদের জনগণ তাদের সেবক মনে করার অবকাশ সৃষ্টি হয়নি, বরং পেক্ষাপট এমনিভাবে সৃষ্টি হয়েছে যাতে জনগণকে এমনিভাবে চিন্তা করতে হয় যে, ঐ কর্মকর্তা বা কর্মচারীর হাতেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভাগ্য নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি। প্রেক্ষাপট একদিনে সৃষ্টি হয়নি, বরং দিনে দিনে এ অবস্থান সৃষ্টি হয়ে এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। এ প্রকট আকারের পিছনে রয়েছে সরকারের মদদ। কারণ, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান তথা রাজনৈতিক দলগুলিতে মেধাশক্তি সম্পন্ন কর্মী বাহিনীর প্রাধান্য না থাকার কারণে বর্তমান আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা দিনে দিনে এতোই নির্মম হচ্ছে যে, কোনো আমলা থেকে আদর্শভিত্তিক কোনো বিষয় ধ্যান ধারণা করাতো দূরের কথা ন্যূনতম নৈতিকতার পরিচয় পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষের নিকট আমলারা সাহেব বা স্যার সম্বোধন প্রত্যাশা করে, কোনো কারণেই মনে করে না যে, তারা জনগণের বেতনভুক্ত কর্মচারী। একটি কাজে মানুষকে দিনের পর দিন হয়রানি করা, ন্যায্য অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি ক্ষেত্রে অহেতুক ঝামেলা সৃষ্টি করাসহ সরকারি দল সমর্থিত বাদে অন্যদের ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা প্রভৃতি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক দলে টাকার মূল্যায়ন বা রাজনৈতিক অঙ্গনে মেধার মূল্য নাই বলে দল ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষমতাসীন দলকে আমলানির্ভর হয়ে পড়তে হয়। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা ছিটকে পড়ে, সৃষ্টি হয় জনগণের বিড়ম্বনা।

একজন লেখক, সাহিত্যিক, অনলবর্ষী বক্তা, সংগঠক, শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো সম্মানজনক পদ ছেড়ে জীবিকার জন্য কেন আমলার চাকরি বেছে নিলেন এবং কেনই বা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের পরিচালকের পদে চাকরিতে ড. শেলী উৎসাহিত হয়েছিলেন তা তিনিই জানেন। আমলাতন্ত্রের মধ্যে অনেক বিভাগ আছে, যেখানে ক্ষমতার দাপট দেখানো যায়। কিন্তু জনগণকে সমাজ সেবায় উৎসাহিত করার বা কমিউনিটি থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজসেবক সৃষ্টি করাই সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মূল উদ্দেশ্য। একজন স্বেচ্ছাসেবী সমাজকর্মী, যে নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ায়, তাদের সমাজ কর্মে উৎসাহিত করা এবং সামাজিক কর্মকান্ডকে মূল্যায়িত ও প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জনগণের অর্থে একটি বিভাগ লালিত-পালিত হয়ে আসছে যার নাম সমাজসেবা অধিদপ্তর। দল মত নির্বিশেষে সমাজসেবক সৃষ্টি করাসহ সমাজ কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলিকে টিকিয়ে রাখা যাদের দায়িত্ব তারাই এখন দলবাজিতে প্রচন্ড ব্যস্ত। সমাজ থেকে স্বেচ্ছাসেবী সমাজসেবক তৈরি করার একটি মহৎ প্রবণতা ড. মীজানুর রহমানের মধ্যে লক্ষ করেছি। যে ভালো কোনো কর্মে এগিয়ে আসে তাকেই উৎসাহিত করা ও এগিয়ে দেয়াই ছিল তার উদ্দেশ্য। প্রমোশন, লোভনীয় পদে বদলি সব কিছুই হচ্ছে এখন দলীয় ভিত্তিতে। শুধুমাত্র দলবাজি ও দলীয়করণের আনুগত্যের কারণে বর্তমানে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সরকারি চাকরির বয়স সীমা অতিক্রম করলেও ঐ ব্যক্তিকেই দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ভিত্তিক মহাপরিচালকের পদে অধিষ্ঠিত রাখা হয়েছে। সরকারের কিছু দপ্তর বা বিভাগ থাকা দরকার যেখানে সরকার দলীয় রাজনৈতিক মতাদর্শকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করার জন্য দল-মর্তের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে উৎসাহী এমন আমলাদের দায়িত্ব দেয়া বাঞ্চনীয় ছিল।

সরকারের কিছু বিভাগ রয়েছে যাকে পকেটস্থ না করলে সরকার চলতে পারে না বলে সরকার মনে করে। সমাজ সেবা অধিদপ্তর বা স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর এর আওতায় আসে বলে আমি মনে করি না। যেমন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা বিচার বিভাগ বা প্রশাসনিক বিভাগ সরকারের প্রকেটস্থ থাকতেই হবে বলে সরকার মনে করে, নতুবা সরকারের সকল অবৈধ কাজের বা সরকারি দলের অন্যায় অবিচারকে বৈধতা দেয়ার জন্য ছা-পোষা লোক কোথায় পাওয়া যাবে? যার জন্য উল্লেখিত পদে নিরপেক্ষ লোককে দায়িত্ব দিলে বুমেরাং হতে পারে বলে সরকার মনে করে। তবে চাটুকারদের প্রশ্রয় দিয়ে তাদের নিকট থেকে সুবিধা আদায় করতে গিয়ে ঐ সব চাটুকারদের উপর সরকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। যার ফলে দেখা যায় যে, একজন যুগ্ম-সচিবের জন্য তিন ঘণ্টা ফেরি আটকে থাকার কারণে চিকিৎসার অভাবে যাত্রীর অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মৃত্যু হয়, অথচ তদন্ত প্রতিবেদনে তারা দোষী সাব্যস্ত হয় না। কারণ যারা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে তারাও আমলা। এমনও দেখা যাচ্ছে যে, সরকারি দপ্তরের পাশেই (জামালপুরের জেলা প্রশাসক) নিজের বেড রুম তৈরি করেছেন। এ তদন্ত প্রতিবেদনও প্রকাশ পাবে না। তবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উপর থেকে জনগণের আস্থা উঠে যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সরকারের আশ্রয়-প্রশয়ে আমলারা তাই করছে। আশ্রয়-প্রশ্রয়ের মূল কারণ রাত্রিকালীন ভোট করার জন্য আমলাদেরই দরকার, জনগণকে নয়। দলীয় গ্রুপিংয়ের কারণে থানায় এখন পুলিশের স্বাক্ষরও পুলিশ জাল করে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এজাহার দায়ের করছে (এ মর্মে সরকার দলীয় একজন এম.পি বলেছেন যে, ‘পুলিশ এখন আওয়ামী লীগ করে’)। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত উক্ত মামলায় বর্তমানে গোপালগঞ্জে কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর সাখাওয়াত হোসেন মৃধাকে কথিত বাদী করা হয়েছে। তিনি সাংবাদিকের সাথে টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, ‘ভাই আকাম করছে তারা, গোসল করে আমারে নিয়া। এই ঘটনার পর আমার ক্ষতির আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে নিজেই বদলি হয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমাকে মেরেও ফেলতে পারে, ইয়াবা দিয়েও মামলা দিতে পারে।’ সাখাওয়াত দাবি করেন, তার ভুয়া স্বাক্ষর দিয়েই মামলাটি করা হয়েছে। উক্ত সাব-ইন্সপেক্টরের বক্তব্যে এটাও প্রকাশ পেয়েছে যে, ইয়াবা হাতে ধরিয়ে দিয়েও পুলিশ মিথ্যা মামলা দেয় এবং এটাও পুলিশের একটি অপ-সংস্কৃতি বটে। বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য আমলাদের অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের উপর সরকার নির্ভরশীল হয়ে পড়ায় তাদের লাগাম টেনে ধরা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে, যদি সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন সরকারি ব্যবস্থাপনার উত্থান না ঘটে। আমলা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তথা সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা আইন শুধু লংঘিত নয় উপেক্ষিত হয়েছে মানুষের অধিকার, কারাবরণ করতে হয়েছে অনেক নির্দোষ মানুষকে, এতে প্রাথমিক লাভবান হয়েছে সংশ্লিষ্ট আমলা নিজে, সেকেন্ডারি লাভবান হয়েছে সরকার স্বয়ং, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ ও জাতি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত উক্ত ভুয়া মামলায় ৭৫ জন এজাহার নামীয় এবং ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে, যাদের মধ্যে সরকারি দলের নেতাকর্মী থাকায় জনগণ জানতে পারলো যে, বাংলাদেশের পুলিশ গায়েবি, জাল ও মিথ্যা মামলা সৃজনে কতটুকু যেতে পারে এবং এতে তারা কত পটয়সী। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটাই সত্য যে, আমলাদের কূট-কৌশলে বিনা ভোটে সরকার গঠন হওয়ার কারণেই সরকার আমলাদের লাগাম টানতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমলাদের দিয়ে সরকার রাজনীতি করাচ্ছে বলেই তারা এখন অপ্রতিরোধ্যে। গায়েবি মামলার পর জাল স্বাক্ষর দিয়ে মামলা করার নতুন অপ-সংস্কৃতি শুরু হয়েছে।

পুলিশ তথা সরকারি কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য এতোই বেড়েছে যে, পূর্বে ভিন্ন পন্থীদের গায়েবি মামলা দিতো, এখন পুলিশ পুলিশের স্বাক্ষর জাল করে খুনের মামলা দেয়। তবে বিষয়টি বুমেরাং হয়েছে এ কারণে যে, ‘পড়বি তো পড় তো মালীর ঘাড়ে।’ জাল স্বাক্ষর রজুকৃত মামলাটির অধিকাংশ আসামীই সরকারি দলের নেতাকর্মী। আসামীরা যদি সরকারি দলের নেতাকর্মী না হয়ে ভিন্নমতের লোক হতো তবে এই জাল এজাহারে ‘কত ধানে কত চাল’ তা ভুক্তযোগীরা উপলব্ধি করতে পারতো। বিচার বিভাগও এদের সাজা দিয়ে আত্মতৃপ্তি লাভ করতো। পত্রিকায় বাহাবা আসতো। এমনি তো চলছে আমাদের বিচার ও সমাজ ব্যবস্থা। এখন দেখার বিষয় সরকারি দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এজাহার জালিয়াতি সম্পর্কে সরকার কোন পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

আমলাতন্ত্রের জনগণকে সহযোগিতার পরিবর্তে সরকারি দল তোষণ প্রক্রিয়া এখন নগ্ন রূপ ধারণ করেছে। কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংস্থার অবৈতানিক সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ড. মীজানুর রহমান শেলীর আমলে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাওয়া যেতো। কিন্তু সরকার বিরোধী প্ল্যাটফর্মের কর্মী হওয়ায় বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে উক্ত অধিদপ্তরের প্রশাসন থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। বরং পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে, যার প্রতিকারের জন্য আদালতের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। ভিন্নমতের রাজনীতিতে যারা জড়িত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা তাদের সাথে এমনই আচরণ করে যাতে প্রতীয়মান হয় যে, সরকারি দলের যে কোন নেতাকর্মীর চেয়ে তারা যেন বেশি সরকারি দলীয় নেতাকর্মী, যেমনটি প্রবাদ রয়েছে যে ‘পোপের চেয়ে বড় ক্যাথলিক’(!)। প্রবাদ রয়েছে যে, ‘কচু কাটতে কাটতে ডাকাত হয়।’ সরকার যেন ডাকাত সৃষ্টির পথকে সুগম না করে।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নিরক্ষরতা দূরীকরণ সংস্থা, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা, সহ-সভাপতি, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন