বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের গণিত বিভাগের ছাত্র রাজু আহমেদ (২২) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এবং হত্যায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার মধ্যরাত ও রোববার ভোরে আলাদাভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হলো- সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দত্ত খারুয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৩৫) ও একই গ্রামের শামসুল প্রামানিক (৩৩)।
মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে রাজুকে শ^াসরোধে হত্যা করে বিলের পানিতে ফেলে দিয়েছিল অপহরণকারীরা।
নিহত রাজু জেলার সাঁথিয়া উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের লোকমান প্রামানিকের পুত্র। তিনি পাবনা শহরের রাধানগরে একটি ছাত্রাবাসে থেকে এডওয়ার্ড কলেজে লেখাপড়া করতেন।
পিবিআই পাবনার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম রোববার দুপুরে জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর পাবনা শহরের রাধানগর এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে কলেজ ছাত্র রাজু আহমেদকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় ‘আংকেল’ নামে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি। পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে রাজু আহমেদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় ২০ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করে রাজুর পরিবার।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মামলাটির তদন্ত শুরু করে পিবিআই পাবনা। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ভাঙ্গুড়া রেলস্টেশন এলাকা থেকে জড়িত প্রধান আসামী সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই সদস্যরা। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপর সহযোগী শামসুল প্রামানিককে ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত দুই অভিযুক্ত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কলেজ ছাত্র রাজু আহমেদ হত্যায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের তাদের দেয়া তথ্য মতে, কিছু পাওনা টাকা আদায় করতে ১৬ সেপ্টম্বর সকালে পাবনা শহরের কুবাদ ছাত্রাবাস থেকে রাজু আহমেদকে ডেকে নিয়ে যায় সিরাজুল ইসলাম। প্রথমে উল্লাপড়া রেল স্টেশনে গিয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান করে রাজু ও সিরাজুল। সেখান থেকে নিজের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে রাজুকে নিয়ে ভাঙ্গুড়ার দিলপাশার স্টেশনে যায় সিরাজুল। সেখানে সিরাজুলের সহযোগি নৌকার মাঝি শামসুল প্রামানিককে মোবাইলে ডেকে নিয়ে নৌকায় উঠে রওনা হয়। পথিমধ্যে নৌকার বাঁশের মাচালের ওপর রাজু ঘুমিয়ে পড়লে তাকে রশি দিয়ে শ^াসরোধ করে হত্যার পর লাশ বিলের পানিতে ফেলে দেয় সিরাজুল ও শামসুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।