মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইসরাইলের সাধারণ নির্বাচনে আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কাক্সিক্ষত ফিগারে পৌঁছতে পারেননি তার প্রতিদ্বন্ধী সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গান্টজও। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯২ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ১২০ আসনের পার্লামেন্টে দুই বড় দলই ৩২টি করে আসন পেয়েছে।
নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইহুদিবাদী লিকুদ পার্টির জোটগত আসন সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৫৬। বেনির ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির জোটগত আসন হচ্ছে ৪৩। ফলে ঐতিহ্যগতভাবেই সরকার গঠন করতে পারছে না কোনো দলই।
এএফপি জানায়, লিকুদ পার্টির ক্ষেত্রে অবশ্য একটা সুযোগ রয়েছে, যদি সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাভিগডো লিবারম্যানের কট্টর ইহুদিবাদী দল ‘ইসরায়েল বেইতেনু’কে দলে ভেড়াতে পারেন নেতানিয়াহু। ৯টি আসন পাচ্ছে দলটি।
ফলে জোট সরকার গঠনে বরাবরের মতো এবারও তিনিই মূলনায়কে পরিণত হয়েছেন। কট্টর ইহুদিবাদী এই নেতার হাতেই এখন সরকারের চাবিকাঠি।
ক্ষমতাসীন জোটে থাকা জাতীয়তাবাদী ইয়ামিনা ৭, দুটি কট্টরপন্থী ইহুদিবাদী দল শাস ও ইউনাইটেড তোরা ৮ ও ৯টি আসন পেয়েছে। গত এপ্রিলে প্রথম দফা ভোটে ৩৬ আসন পেয়েছিল নেতানিয়াহুর দল। সেবার লিবারম্যানকে দলে টানতে পারেননি টানা চতুর্থবারের এই প্রধানমন্ত্রী।
গাজা উপত্যকায় অস্ত্রবিরতি চুক্তি করায় একে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে আপস’ অ্যাখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর জোট ত্যাগ করেন কট্টরপন্থী ইহুদি নেতা লিবারম্যান। ফলে লিবারম্যানের ৯ আসনই জোট সরকার গঠনে নেতানিয়াহুর একমাত্র চাবি। বেনিকে সমর্থন দিয়েছে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (৫) ও লেবার (৬)।
পার্লামেন্টে তৃতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়া দল জয়েন্ট আরব লিস্ট (১২)। আরব পার্টিগুলো ঐতিহ্যগতভাবে কোন দলকে সমর্থন করে না। তবে তারা নেতানিয়াহুকে হঠাতে বেনিকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হলে ইসরাইলের সামনে এখন আরও দুটি বিকল্প রয়েছে।
এর একটি হল লিকুদ, ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি এবং সম্ভব হলে লিবারম্যানের ‘ইসরায়েল বেইতেনু’কে নিয়ে একটি ঐক্যের সরকার গঠন করা। বুধবার সকালে লিবারম্যান বলেছেন, লিকুদ ও ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির মধ্যে সমঝোতায় কোনো সরকার হলেই কেবল তিনি তাতে সমর্থন দেবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।