মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ করেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, চলতি মাসে শুরুর দিকে রাশিয়ায় উভয় নেতার মধ্যে বৈঠকে এই ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়নি।
৫৩ বছর বয়সী ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক ২০১৬ সালে ভারত থেকে চলে যান। পরবর্তীতে তিনি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় থাকতে শুরু করেন, যেখানে তাকে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি দেয়া হয়।
মাহাথির বলেন, জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দিতে দিল্লির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ থাকা সত্ত্বেও মোদি তার কাছে এ বিষয়ে কোনও অনুরোধ করেননি।
তবে মঙ্গলবার দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ভ্লাদিভস্টকে অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে উভয় নেতার মধ্যে আলোচনায় জাকির নায়েকের ইস্যুটি উঠেছিল। তিনি বলেন, জাকির নায়েককে ফিরিয়ে দিতে জানুয়ারি মাসেই মালয়েশিয়ার কাছে অনুরোধ জানিয়েছে ভারত।
গত ৫ সেপ্টেম্বর উভয় নেতার মধ্যকার বৈঠকের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখালে বলেন, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে জাকির নায়েকের ইস্যুটি উত্থাপন করেছিলেন মোদি।
কিন্তু রেডিও স্টেশন বিএফএম ৮৯.৯-কে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব বেশি দেশ নেই যারা তাকে (জাকির নায়েক) নিতে চায়। মোদির সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে। কিন্তু তিনি জাকির নায়েককে ফেরত চাননি।
তার দেশ জাকির নায়েককে অন্য দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বলেন, আমরা তাকে অন্য দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনও দেশই এই মুহূর্তে তাকে গ্রহণ করতে চাইছে না।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার হিন্দু ও চীনা বংশোদ্ভূত মালয়েশীয়দের ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য করে বেশ বিতর্কের জন্ম দেন জাকির নায়েক। এরপর থেকে মালয়েশিয়ায় জাকির নায়েকের প্রকাশ্য বক্তব্য প্রদানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (জাকির নায়েক) আমাদের দেশের নাগরিক নন। আমার ধারণা, বিগত সরকার তাকে এ দেশে স্থায়ীভাবে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। একজন স্থায়ী বাসিন্দা এই দেশের ব্যবস্থা ও রাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন না। তিনি সেটা লঙ্ঘন করেছেন। তাই এখন তার আর কথা বলার অনুমতি নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।