পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পর্দা ভেদ করে দুর্নীতির গোমড় একেএকে ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। হালকা বালিশ দুর্নীতিবাজদের মাথার বোঁঝা হয়ে গেছে। বিশুদ্ধ পানি জনগণকে উপহার দিতে ওয়াসার কর্মকর্তাদের উগান্ডা ভ্রমণকাহিনী এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচনার বিষয়। এসব ছাড়িয়ে আলোচনায় এখন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অনিয়ম। টিআইবি বলছে ‘দলিল ও দুর্নীতি সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে।’ জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষ লাগে ৫০০ থেকে ৫ লাখ টাকা। দলিলের নকল তোলার জন্য সেবাগ্রহীতাদের দিতে হয় ১ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা। দলিল নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি দলিল বাবদ দলিল লেখক সমিতিকে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা বা ঘুষ দিতে হয়। এই সেবায় ক্রমাগত দুর্নীতি বেড়েই চলেছে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, দেশব্যাপী কয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া দেশের সব সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ঘুষ লেনদেন স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক প্রতিবেদনটি তুলে ধরে বলা হয় জমির দাম, দলিল ও দলিলের নকলের ধরণ ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র থাকা না থাকার ওপর এবং এলাকাভেদে নিয়মবহির্ভ‚ত অর্থ লেনদেনের পরিমাণ কমবেশি হয়। এতে সেবা গ্রহীতা ও সরকার উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার নিশ্চিতে ১৫ দফা সুপারিশ করেছে টিআইবি। প্রতিবেদন বলা হয়, ভূমি নিবন্ধন সেবার প্রতিটি পর্যায়ে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। ভূমি দলিল নিবন্ধন সেবায় সুশাসনের ঘাটতি ব্যাপক, এ খাত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বিভিন্নভাবে সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে অর্থ আদায় ও ঘুষ নেয়া হচ্ছে। দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ হচ্ছে। এখানে কিছু ব্যতিক্রম বাদে হয়রানি, জিম্মি করে অর্থ আদায়, দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। নিয়োগ পদোন্নতিতেও দুর্নীতি ব্যাপকতা পেয়েছে।
আসলে দুর্নীতিবাজদের কোনো নীতি এবং চাহিদার কোনো শেষ নেই। দফায় দফায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করা হলেও তাদের দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না। তাই প্রধানমন্ত্রীও আক্ষেপ করে বলেছেন, ‹সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা সরকার প্রদান করেছে, যেটা প্রয়োজন সেটা আমরা মেটাচ্ছি। তাহলে দুর্নীতি কেন হবে?› এজন্য সরকারি কর্মচারীদের, মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, যে কোনো মূল্যে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হবে। তার এমন নির্দেশ দুর্নীতিবাজদের ভড়কে যাওয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। তারা তাদের কাজ করেই যাচ্ছে।
দেশকে ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যমুক্ত গড়তে সবার আগে সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি। সেবাখাতে দুর্নীতি হয় বেশি। মানুষের অর্থ ব্যয়সহ ভোগান্তির শেষ থাকে না। বোধ করি, ফায়ার সার্ভিস ছাড়া প্রতিটি সেবাখাতে সেবা পেতে ঘুষ দিতে হয়। টিআইবির রিপোর্টে দুর্নীতির ক্ষেত্রে সবার শীর্ষে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দ্বিতীয় ও তৃতীয়তে আছে যথাক্রমে পাসপোর্ট ও বিআরটিএ। তবে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি ঘুষ নেয়া হয় বিআরটিএ-তে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরনের সেবা পেতে বছরে ঘুষ দিতে হয় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। দেশের আইনশৃঙ্খলা সংস্থা, পাসপোর্ট ও বিআরটিএ, ভূমি অফিসে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, পুলিশ স্টেশন, আদালত পাড়া থেকে শুরু করে সবখানেই অনেকটা রাগঢাকা না রেখে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ চলছে। অথচ সেবাপ্রাপ্তি নাগরিক অধিকার। এখন পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, এ অধিকার বলতে কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব, একটা কথা মনে রাখতে যে, দেশটা আমাদের। আমরা এ দেশ স্বাধীন করেছি। আজ সারাবিশ্বে একটা সম্মানজনক জায়গায় আসতে পেরেছি। ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি সেই পাকিস্তানও এখন আর্থ-সামাজিক স‚চকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন স‚চকে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশকে অনুকরণ করতে চায়। এখন সেই পাকিস্তানও বলে আমাদের বাংলাদেশ বানিয়ে দাও। আজকে কিন্তু আমাদের আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলার সাহস তাদের নেই। এ কথা বলতেও তারা পারবে না। কারণ আমরা অনেক এগিয়েছি। এই এগিয়ে যাওয়াটা, এই যাত্রাটা আমাদের কিন্তু অব্যাহত রাখতে হবে।’ বলা বাহুল্য, কেবল প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছায়ই কেবল দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে না। আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারের সততা নিয়ে কাজ করতে হবে।
দুর্নীতির বিষয়টি সাদা চোখেই দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি কমিয়ে আনার প্রয়াস থেকেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রায় দ্বিগুণ করেছেন। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা। ঘুষ ও দুর্নীতি কমাতে সচিবদের বারবার বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ‘পে-স্কেলে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন যেহারে বেড়েছে, তা বিশ্বে বিরল। তাই জনগণ যেন সেবা পায় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। বেতন যেহেতু বেড়েছে তাই ঘুষ-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’ অথচ সেবাখাতের কোথাও দুর্নীতি কমেছে এমন কথা শোনা যায়নি। বরং ভুক্তভোগীদের মুখে সেবাখাতের নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাশাপাশি জোর করে ঘুষ আদায় করার অভিযোগও কমেনি। সেবাখাতের ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন, ঘুষ ছাড়া সেবা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। দুর্নীতির এই চিত্র যে কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, তা টিআইবির প্রতিবেদন থেকেই বোঝা যায়।
পৃথিবীর সবদেশেই কম-বেশি দুর্নীতি হয়, ঘুষেরও রেওয়াজ আছে। এই কথাটির আপেক্ষিক সত্যতা মেনে নিয়েও, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থায় দুর্নীতির ব্যাপকতাকে অস্বীকার করার কোনো অজুহাত নেই। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, এই দুর্নীতি জনগণের মনে ব্যাপক হতাশাবোধের জন্ম দিয়েছে। এই হতাশাবোধের মূল কারণ হচ্ছে, দেশের রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যকর ভূমিকা থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জনগণকে আশ্বস্ত করতে পারছে না। একটি গণতান্ত্রিক এবং স্বাধীন সমাজব্যবস্থার প্রধানতম ভিত্তি হওয়ার কথা এসব প্রতিষ্ঠানের। আমাদের সমাজব্যবস্থায় এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অগ্রগণ্য হচ্ছে শিক্ষাব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, সংবাদমাধ্যম, সরকারি ও বেসরকারি আমলাতন্ত্র, জাতীয় সংসদ, সরকারি ও বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি খাত। বিগত কয়েক দশক ধরে এসব প্রতিষ্ঠানকে ক্রমে ধ্বংস বা অকার্যকর করার প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে চালিত হচ্ছে। উদ্বেগজনক বিষয় হচ্ছে, এর ম‚লে রয়েছে দুর্নীতি।
ঘুষ ও দুর্নীতি কোথায় নেই। সরকারি কেনাকাটায় কমিশন, ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়া, ঠিকাদারের বিল ছাড়ানো, সাব-রেজিস্ট্রার, সওজের প্রকৗশলী, বন বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড ও পুলিশের গুরুত্বপ‚র্ণ যে কোনো বদলির তদবির, জলমহাল বরাদ্দ, সরকারি বাড়ি বিক্রি, আইনগত ফাঁকফোকর দিয়ে সরকারি জমি ব্যক্তিমালিকানায় নিয়ে আসা, প্লট বরাদ্দ ও বরাদ্দ পাওয়া, সরকারি প্লট পরিবর্তন করা, প্লটের আকার বাড়ানো এবং নিয়োগ বাণিজ্যে সর্বত্রই দুর্নীতি গ্রাস করেছে। উল্লেখিত বিষয়ে সারা বছরই কম-বেশি ঘুষবাণিজ্য চলে। কিন্তু সরকারের শেষ সময়ে এ ধরনের তদবির বেশি করা যায় বলে সচিবালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে এখন তদবিরকারকদের আনাগোনা বিরাজ করছে। আবার এসব কাজকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির পেশাদার তদবিরবাজ চক্রও গড়ে উঠেছে। প্রশাসনে ঘুষ এখন সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে নিয়োগ ও বদলিবাণিজ্যে। বিশেষ করে চতুর্থ শ্রেণির পদে লিখিত পরীক্ষা নেয়া বাধ্যতাম‚লক না হওয়ায় একেবারে তালিকা করে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে বলে অভিযোগের অন্ত নেই। আর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি প্রমাণ করা যায় না বলে সংশ্লিষ্টরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
দুর্নীতির এই সর্বগ্রাসী থাবা থেকে কীভাবে মুক্ত হওয়া যায়? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আমাদের বুঝতে হবে যে কেন দুর্নীতি হয় বা দুর্নীতি বিস্তারের প্রক্রিয়া কীভাবে বৃদ্ধি পায়। সার্বিকভাবে দেখলে দুর্নীতির ব্যাপকতার সঙ্গে নৈতিক ম‚ল্যবোধের অবক্ষয়ের একটি সম্পর্ক আছে। একথার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বলতে হয় যে, কেবল ম‚ল্যবোধের অবক্ষয় বাংলাদেশের দুর্নীতির ব্যাপক প্রসারের প্রক্রিয়াকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা জনগণের মনে যে পরিমাণ হতাশার সৃষ্টি করে তা তুলনাহীন। দুর্নীতি কেবল ওপর মহলে হয় তাই নয় বরং দৈনন্দিন জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জনগণকে দুর্নীতির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে বাধ্য করা হয়। এই অংশগ্রহণের কারণ সব ক্ষেত্রেই শুধু লোভ নয় বরং অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে ন‚্যনতম জীবনযাপনের প্রচষ্টা। এই অসহায়ত্বের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দুর্নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা না থাকা। ফলে জনগণের কাছে এই ধারণা ক্রমেই দৃঢ় হয়েছে যে, সমাজে নীতিবান হয়ে থাকার মধ্যে কোনো গৌরব নেই বরং আছে ভোগান্তি। সমাজের সুশীল অংশেও ন্যায়-অন্যায়ের সংজ্ঞা পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে বেআইনি পথে থাকার সুবিধা অনেক। জনগণের মনে এই ধারণা যত বিকাশমান হচ্ছে, হতাশা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাপক দুর্নীতিপ্রবণ দেশ, এই ধারণা জনমনে ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এর কারণ রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সৎভাবে ভূমিকা পালনে কার্যকর করতে পারেনি। সমাজ ও রাষ্ট্রের এই প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যর্থতা দেশের জনগণের মনে তীব্র হতাশার সৃষ্টি করেছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে অন্তরায় হয়ে রয়েছে। যতদিন এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ভূমিকা কার্যকরভাবে পালন করতে না পারবে, সর্বত্রই দুর্নীতির ব্যাপকতা থেকে যাবে। দুর্নীতির যে ধারণা আমরা সৃষ্টি করেছি, সেই ধারণাকে বদলাতে হবে আমাদেরই। আর তা করতে হবে কথাকে কাজে পরিণত করার মাধ্যমে। এ দেশ আমাদের সবার, তাই আমাদের সবার মিলিত প্রতিরোধে সমাজের সব অনাচার দূর করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে সরকারেরও সঠিক ভূমিকা থাকতে হবে। আর এসব বিষয়ে সরকার জনতার ন্যায্য সমর্থন পাবে বলেই আমার বিশ্বাস। বর্তমান সরকারের সাফল্যের অনেক নজির আছে। তবে দুর্নীতির ব্যাপকতায় সরকারের অর্জনগুলোকে ম্লান করে দিচ্ছে।
দুর্নীতি থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমাদের রাজনীতিক, মন্ত্রী, আমলা আর দেশের মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের পাশাপাশি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ দুর্নীতিই সুশাসন প্রতিষ্ঠাকে বাধাগ্রস্ত করে তুলছে। দুর্নীতির অভিযোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমলে নেয়া হয় না, এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি শাস্তি পায় না, ফলে দুর্নীতি রোধ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। দুর্নীতি রোধে আইনের কঠোরতা বাড়াতে হবে। সর্বোপরি অপরাধে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
লেখক- সাংবাদিক, কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।