মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাসাগরে ভারতীয় সমুদ্রসীমার থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ঘোরাফেরা করছে সাতটি চীনা যুদ্ধ জাহাজ। ভারতের নৌবাহিনীর নজরদার বিমানে ধরা পড়েছে সেই যুদ্ধজাহাজগুলির ছবি। এ ঘটনায়, এডেন উপসাগরে জলদস্যু দমনের নামে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীন কৌশলগত প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে বলে আশঙ্কা করছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের খবর, মহাসাগরে ভারতীয় বিশেষ ব্যবসায়িক এলাকা (এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন) ও আঞ্চলিক সমুদ্রসীমার কাছাকাছি চীনা যুদ্ধ জাহাজগুলিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। এই ছবি ধরা পড়েছে ভারতের পি-৮১ অ্যান্টি সাবমেরিন নজরদার বিমানের মাধ্যমে। চীনা যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে রয়েছে ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক ও উভচর যানও। মালাক্কা প্রণালী হয়ে ভারত মহাসাগর এলাকার ২২ দেশ নিয়ে তৈরি ইন্ডিয়ান ওশেন রিম অ্যাসোসিয়েশন বা আইওআরএ-র সমুদ্রসীমায় ঢোকার সময়েই চীনা যুদ্ধ জাহাজগুলির উপর নজরদারি শুরু করা হয়।
ভারতের তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে যে, পাকিস্তানকে পেছনের দরজা দিয়ে সাহায্য করতে চাইছে চীন। সে কারণেই জলপথে নজরদারির চেষ্টা করছে বেইজিং। কূটনৈতিক মহলের একটি অংশের অবশ্য ব্যাখ্যা, ভূ-রাজনৈতিক ভাবে ও ব্যবসায়িক দিক থেকে ভারত মহাসাগরের ওই এলাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই ২০০৮ সাল থেকেই সেখানে প্রভাব বিস্তার করার প্রচেষ্টা জারি রেখেছে বেইজিং। জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য বছর দুয়েক আগে পূর্ব আফ্রিকার জিবুতিতে একটি ঘাঁটিও গড়ে তুলেছে তারা। সূত্রের খবর, সেখানে পরমাণু শক্তিসম্পন্ন সাবমেরিনও নিয়ে যাওয়া হয়।
চলতি বছরে প্রতি তিন মাস অন্তর বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে নজরদারি চালাতে দেখা গিয়েছে চীনের নৌবাহিনীকে। ফেব্রুয়ারিতেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের মাঝ দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের হাইনান নৌঘাঁটিতে পৌঁছেছিল তিনটি চীনা যুদ্ধজাহাজ। ভারত মহাসাগরে আন্দামান সীমান্তের খুব কাছে এত ঘন ঘন চীনের নৌবাহিনীর আগমনে চিন্তিত হয়ে পড়েছে নয়াদিল্লি। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।