মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা অনুযায়ী কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিলের পর থেকেই সেখানকার পরিস্থিতি উত্তাল। চলমান অবস্থায় সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আজ সোমবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সোমবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এর নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্ট বেঞ্চ কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হয়, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যত দ্রæত সম্ভব সব ধরনের পদক্ষেপ নিন। জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনা করেই প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনে কাশ্মীরের হাইকোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতেও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিলের পর থেকে যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে জারি করা নিষেধাজ্ঞাকালীন কোনো ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদায় সংবিধানে রাখা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেয় নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে নাটকীয় কায়দায় অঞ্চলটিজুড়ে সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়। বন্দি করা হয় সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আব্দুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক নেতাকে। ইন্টারনেট, ক্যাবল নেটওয়ার্কসহ যাবতীয় সব যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কারফিউ জারি করে রাস্তায় রাস্তায় সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয় সশস্ত্র বাহিনী।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা চলে যাওয়ার সময় উপমহাদেশ ভাগ হয়ে গেলে তখন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের শাসকরা বিশেষ শর্তে ভারতে যোগ দেন। সেই শর্তটিই ৩৭০ অনুচ্ছেদ আকারে সংবিধানে সংরক্ষিত ছিল। এই অনুচ্ছেদের আওতায় কাশ্মীর আলাদা সংবিধান ও পতাকার স্বাধীনতা ভোগ করতো। এমনকি সেখানে সরকারি চাকরি, জমি কেনা এবং ব্যবসা করার সুযোগটিও ছিল কেবল কাশ্মীরিদের জন্যই। কিন্তু ওই অনুচ্ছেদ বাতিলের কারণে সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে কাশ্মীরিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।