Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাণীনগরে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া রিং কালভার্ট মেরামত না করায় ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৬:৫৪ পিএম

নওগাঁর রাণীনগরে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া ছোট রিং কালভার্টটি মেরামত না করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে কয়েকটি গ্রামের কয়েক শত মানুষ। এই ভাঙ্গা রিং কালভার্ট দিয়েই প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামীণ মানুষদের। কিন্তু মেরামত করার কোন পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।

গ্রামের উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু উপজেলার বড়গাছা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামীণ রাস্তাগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। দীর্ঘদিন এই রাস্তা, কালভার্টগুলো সংস্কার না করায় তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝিনা বাজার থেকে লোহাচুড়া যাওয়ার একমাত্র উপায় এই ঝিনা রাস্তাটি। কচুয়া, লোহাচ’ড়া, ঝিনাসহ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশত মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এটি। প্রায় দুমাস আগে বন্যায় ভেঙ্গে যায় এই রাস্তার কচুয়া নামক স্থানের ছোট রিং কালভার্টটি। ভেঙ্গে যাওয়া এই কালভার্টটির উপর দিয়ে বর্তমানে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য ছোট-খাটো যানবাহন চলাচল করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। এতে করে প্রত্যন্ত এই অঞ্চলের মানুষরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এছাড়াও এই রাস্তার মাঝে মাঝে ইট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় তা চলাচলের খুবই অনুপযোগি হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মর্জিনা বেগম, ইন্টু হোসেনসহ আরো অনেকেই বলেন ভোট এলেই শুধু নেতারা আশ্বাস দিয়ে যায় নতুন করে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হবে কিন্তু পরে আর কোন খোজ থাকে না। প্রায় দুই মাস হলো বন্যায় ছোট্ট এই রিং কালভার্টটি ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে আছে কারো দৃষ্টি নেই। আমরা প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি এর উপর দিয়ে। এটিই আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তা।

বড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম শফু বলেন আমি এই ভেঙ্গে যাওয়া কালভার্ট ও রাস্তার বেহাল দশার কথা উপজেলা প্রশাসন ও প্রকৌশলী দপ্তরকে জানিয়েছি কিন্তু এখনো কোন বরাদ্দ পাওয়া যায় নাই। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করবো।

উপজেলা প্রকৌশলী শাইদুর রহমান মিঞা বলেন এই কালভার্ট ও রাস্তাসহ উপজেলার বেশ কিছু গ্রামীণ অবকাঠামো কাজের চাহিদা উপর মহলে পাঠিয়েছি। অনুমোদন ও বরাদ্দ এলেই এগুলো নতুন করে নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মেরামত

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ