পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
সড়ক-মহাসড়ক নির্মাণ ও মেরামতের পেছনে সরকারকে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। একেকটি মহাসড়কের লেন উন্নয়ন একেকটি মেগা প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় বছরের পর বছর ধরে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চারলেনে উন্নীতকরণের প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কাজ শেষ হয়নি। এখন ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজের কারণে এ মহাসড়কের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। একদিকে সময়মত প্রকল্পর কাজ বাস্তবায়ন করতে না পারা অন্যদিকে অস্বাভাবিক উচ্চ খরচে সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণের পর অল্পদিনের মধ্যে মহাসড়কে খানাখন্দ তৈরি হওয়ার বাস্তবতা থেকে মুক্ত হতে হবে।
সড়ক-মহাসড়কে নৈরাজ্যের ফলে শুধু যে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে তা নয়, যানজটসহ আরও নানা জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়, জাতীয় অর্থনীতিতে যার নেতিবাচক প্রভাব বিরাট। অর্থনীতিবিদদের ধারণা, সড়কে নৈরাজ্যের কারণে বাংলাদেশ মোট জাতীয় উৎপাদনের ২ থেকে ৩ শতাংশ হারাচ্ছে। তাঁরা মনে করেন, সড়কে শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাড়ানো গেলে বিনিয়োগ বাড়বে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিকল্পনায় ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই।কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে, প্রয়োজন সেসবের বাস্তবায়ন।
মহা সড়ক থেকে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে তা সময়ই বলে দিবে। তারপরও ভেবে চিন্তে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। কারণ মহাসড়কগুলোতে এমনিতে মহাগেঞ্জাম চলে নিত্যদিন। যানজট আর গাড়ির ধীর গতি যাই বলি না কেন তা যাত্রীদের নিত্যসঙ্গী। মহাসড়কগুলোতে চুরি ডাকতি হচ্ছে হরহামেশা। যানজটে পড়ে হাজার কোটি টাকার জ্বালানি তেল গ্যাস যেমন নষ্ট বা অপচয় হচ্ছে তেমনি সময়েরও অপচয় হচ্ছে। তার উপর মহাসড়কগুলোতে গাড়ী থামিয়ে টোল আদায় কতটা যুক্তি সঙ্গত হবে তা ভাববার বিষয়।
ব্রিজ, সেতুর পাশাপাশি এবার মহাসড়ক ব্যবহার করলেও টোল দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন- ব্রিজ, সেতুর পাশাপাশি মহাসড়ক থেকে টোল আদায়ের। ১৪তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি ভবনের সম্মেলন কক্ষে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ব্রিজে আমরা টোল নিই। সড়ক নয়, জাতীয় মহাসড়কগুলোতে থাকা (যেমন ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-রংপুর জাতীয় মহাসড়ক) ব্রিজ ছাড়াও রাস্তার ওপর টোল বসানো হবে। সারাবিশ্বে তাই আছে। টোলে কত টাকা নির্ধারণ হবে, সেটা বসে ঠিক করা হবে। ‘এই টাকা ব্যয় করা হবে রাস্তা মেরামতে। পশ্চিমা দেশে এটা খুবই জনপ্রিয়। এটাকে তারা বলে ‘ইউজার পেইড’ বা ব্যবহার করেন, পেমেন্ট করেন। এই টোলের টাকা আলাদা অ্যাকাউন্টে যাবে। এগুলো রাস্তার মেরামতে ব্যয় করা হবে।’ কীভাবে টোল আদায় হবে তা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে আমরা যেটা দেখেছি, সেকশন সেকশন হয়। ধরুন, ২০০ মাইল রাস্তা। প্রত্যেক ৫০ মাইল রাস্তায় একটা গেট থাকে। স্থানীয় গাড়িগুলো ১০ মাইল গিয়ে আরেক রাস্তায় গেলে টোল আসবে না। লং ডিসটেন্স ট্রাভেলারদের (দূরবর্তী যানবাহন) জন্য এটা হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ করবে দেশের প্রকৌশলীরা।’ এখানে অযৌক্তিক কিছু হবে না বলেও জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
বাংলাদেশে উন্নত সড়ক ব্যবস্থাপনায় আধুনিক ও বিশ্বব্যাপী অনেক নিয়মনীতি অন্তর্ভুক্তি করতে বিভিন্ন সময় কর্মপরিকল্পনা স¤প্রসারণ করা হয়েছে। গত দশ বছর উন্নয়ন মহাপরিকল্পনায় অবকাঠামোর যে সামগ্রিক অবয়ব, সেখানে সড়ক-মহাসড়ক, সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের হরেক প্রকল্প দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। বিশেষ করে দূরযাত্রার মহাসড়কের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার সংযোগস্থলে চার লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প দৃশ্যমান হচ্ছে, যা সম্প‚র্ণ বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। তবে সড়ক পরিবহন বিধিতে টোল আদায়ের যে নিয়ম বাংলাদেশে সেটা প্রচলিত আছে শুধু সেতু এবং কালভার্ট পার হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে। এবার বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মহাসড়কের ওপর থেকেও টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত এসেছে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) নিয়মিত বৈঠকে এমন নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেতু এবং কার্লভাটের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হবে মহাসড়কের ওপরও টোল আদায়ের প্রক্রিয়া। সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন গুরুত্বপ‚র্ণ মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসস্থলে ‘এক্সেল রোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র’ তৈরির নতুন প্রকল্পের ওপর তার অভিমত প্রকাশের সময় মহাসড়কে টোল আদায়ের ব্যাপারটিও উত্থাপন করা হয়। টোল গ্রহণে যে তহবিল গঠন করা হবে সেই অর্থে সড়ক-মহাসড়কের সংস্কারসহ কিছু উন্নয়ন কর্মযোগ সন্নিবেশিত করাও জরুরী।
বৃষ্টি স্নাত বাংলা এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে সারা বছরই প্রায় সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থায় গণপরিবহনের যে দুর্ভোগ যেখান সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি চরম অবস্থায় গিয়ে ঠেকে। বেশির ভাগ সময়ই রাস্তাঘাটের এমন দুরবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত জরুরী। ফলে বিপন্ন সড়কের নতুন করে সংস্কার প্রক্রিয়াটিও চলতে থাকে। তবে সড়কের নড়বড়ে অবস্থা বেশিদিন নিরাপদ থাকে না। কিছুদিনের মধ্যেই বেহাল সড়ক তার প‚র্বের অবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেয় না। সঙ্গত কারণেই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী দেশের মহাসড়কগুলোকে তুলনা করেছেন ছেড়া কাঁথার সঙ্গে, যা খুব বেশি টেকে না। ফলে বছরের প্রায় সময়ই সড়ক ব্যবস্থাপনায় নজরদারিসহ পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়।
কিন্তু অর্থ ব্যয় করার পরও সমস্যা যে তিমির সে তিমিরেই থেকে যায়। এবার প্রধানমন্ত্রী টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই ক্ষান্ত হননি, সেই অর্থ যাতে যথাযথ বিনিয়োগের মাধ্যমে গুরুত্বপ‚র্ণ এই খাতটির সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ সাধন করা যায় তারও রূপরেখা দিয়েছেন। তবে মহাসড়কের টোল গ্রহণের ব্যাপারটি কিভাবে নির্ধারণ হবে তা নিয়েও কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। সেতুর ওপর নির্ধারিত টোল আদায়ের ব্যাপারেও নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। শুধু তাই নয়, দ‚রপাল্লার যানগুলো কিভাবে মহাসড়কে টোল দেবে সেটাও কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেবে। বিদেশে সাধারণত মহাসড়কের প্রতি ৫০ মাইল রাস্তায় একটি করে ফটক থাকে। স্থানীয় যানগুলো ১০ মাইল চলার পর অন্যদিকে মোড় নিলে টোলের আওতায় পড়বে না। এ ব্যাপারে আরও স্পষ্ট নীতিমালা আসবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। টোল আদায় হবে ম‚লতঃ জাতীয় মহাসড়কগুলোতে। ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-খুলনা এবং ঢাকা-রংপুরের মহাসড়কই টোল আদায়ের মধ্যে পড়বে। সরকারের সময়োপযোগী বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যাতে কোন অনিয়ম কিংবা দুর্নীতির আবর্তে না পড়ে সেটা বিবেচনায় এনে নতুন এই ব্যবস্থাপনাকে জোরদার করলে অর্থ সঞ্চয়ন ছাড়াও রাস্তাঘাটের নিরাপদ বলয় সুনিশ্চিত হবে
সেই সাথে ২১টি মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণেরও নির্দেশনা দিয়েছে। জাতীয় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমানো, মালবাহী গাড়ির অতিরিক্ত লোড এবং আকার আকৃতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি টোল থেকে আদায়কৃত টাকা দিয়ে মহাসড়ক মেরামতের কাজে ব্যয় করার লক্ষ্যে পৃথক অ্যাকাউন্ট বা ফান্ড গঠনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রে জাতীয় মহাসড়কে টোল আদায়ের ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে তা নেই। সড়ক মহাসড়ক নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে সরকার বছরে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকার যোগান দিচ্ছে রাজস্ব খাত। সড়ক-মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে নিয়মিত টোল দিলে রাজস্ব খাতের উপর চাপ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব। তা’ ছাড়া অনুমোদনহীন আকৃতি এবং অতিরিক্ত ওজনের যানবাহন সড়ক মহাসড়কে চলাচলের কারণে রাস্তার বেশি ক্ষতি হয়। অল্পদিনেই রাস্তাগুলো ভেঙ্গে গিয়ে জনভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব নিয়ন্ত্রণ এবং জনভোগান্তি কমিয়ে আনতে মহাসড়কে টোল আদায়ের পাশাপাশি এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা কার্যকর ভ‚মিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। বাস্তবতার নিরীখে প্রধানমন্ত্রীর এ সময়োপযোগী নির্দেশনা প্রশংসনীয় ও অভিনন্দনযোগ্য। তবে টোল আদায় এবং এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি এসব বিষয়কে ঘিরে যেন পরিবহণ ব্যবহারকারিদের বাড়তি হয়রানি ও যানজটের শিকার হতে না হয় সে দিকে লক্ষ্য রেখেই কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে।
টোল আদায় ও এক্সেল লোড কেন্দ্র স্থাপনের নির্দশনার পাশাপাশি কোনো ক্ষেত্রে যেন টেম্পারিং বা দুর্নীতির কোনো সুযোগ না থাকে সে বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। তবে সর্বাগ্রে মহাসড়কের নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে আমাদের প্রধান প্রধান জাতীয় মহাসড়কগুলোতে সারা বছরই যানজটের ধকল পোহাতে হচ্ছে, সেখানে নতুন করে টোল আদায়ের সিদ্ধান্ত এবং এক্সেল লোড কন্ট্রোল সেন্টার বসানোর পদক্ষেপ যানজট আরো বাড়িয়ে তুলবে কি না সে বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে।
গত ঈদুল আজাহার আগে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে গাড়ির চাপ কমাতে সেতুতে টোল আদায় ১০ মিনিট বন্ধ রাখায় প‚র্ব পাশে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টির খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। টোলপ্লাজা যতই ডিজিটাল হোক না কেন, এর পেছনে থাকা ব্যক্তিগুলো যদি সৎ ও দক্ষ না হয় তাহলে টোলপ্লাজাকে ঘিরে মহাসড়কে যানজটের বাড়তি বিড়ম্বনার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। মহাসড়কে টোল আদায়ের কারণে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ ও গাড়ি চলাচল কিছুটা কমে আসলে গণপরিবহন ও পণ্যবাহী গাড়ির জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে। মহাসড়কে টোল আদায়ের এটা একটি পরোক্ষ ইতিবাচক দিক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে মহাসড়কের নিরাপত্তা, যানজট নিরসন, রক্ষণাবেক্ষণসহ প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান যদি মহাসড়কে টোল আদায়ের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর সর্বাধুনিক পদ্ধতি, প্রযুক্তি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেই তা করতে হবে। একই সাথে যানজট নিরসন, টোল আদায় এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে যেমনই হোক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিস্তৃতি লাভ করেছে। পদ্মাসেতু হয়ে গেলে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল যুক্ত হলে সড়কের বিস্তৃতি ব্যাপক আকার লাভ করবে। এক্ষেত্রে সড়কের নির্মাণ কাজের মান যথাযথ রাখা বাঞ্চনীয়। তা নাহলে, টোল আদায় বা জনগণের ট্যাক্সের অর্থে সড়কের রক্ষণাবেক্ষণে কেবল অপচয়ই হবে, সড়ক যোগাযোগ মসৃণ হবে না। এ পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয়, এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সচেতন থাকতে হবে।
জনগণের রাজস্বে বিশ্বের সর্বোচ্চ খরচে সর্বনিম্ন অবকাঠামো এবং নিম্নমানের কাজের অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অস্বচ্ছতা দ‚র করার মাধ্যমে অবকাঠামো নির্মাণ খরচ কমিয়ে আনা এবং কাজের যথাযথ মান নিশ্চিত করা সম্ভব। টোল আদায়ের মাধ্যমে মহাসড়কের রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী। সেই সাথে টোল আদায়কে টেম্পারিং, অস্বচ্ছতা এবং হয়রানিম‚লক যে কোন কর্মকান্ড থেকে মুক্ত রাখার কার্যকর পদক্ষেপ আগেই গ্রহণ করতে হবে। তা নাহলে একটি ভালো উদ্যোগ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।
লেখক : সাংবাদিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।