রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় দুইদল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
এসময় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত আহত হয়েছে ৫জন। আহতদের ঢাকা পঙ্গু এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের ধোপাঘাট গ্রামে। আহতরা হলেন, নিহত হুমায়ুন কবীরের বড় ভাই লিটন মিয়া (৫১), ছোট ভাই জজ মিয়া (২৪), মা রাহেলা খাতুন (৬৭) এবং প্রতিপক্ষ আশরাফুল (৩২), শরীফুল (৩৫)।
গফরগাঁও থানার ওসি অনুকুল সরকার জানান.পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাওনা ইউনিয়নের ধোপাঘাট নামাপাড়া গ্রামের মৃত শহর আলী ে মেম্বারের ছেলে আশরাফুল, শরীফুল ও নয়ন মিয়ার সঙ্গে রাওনা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মতিন মিয়ার ছেলে নিহত হুমায়ুন কবীর ও তার ছোট ভাই জজ মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত বুধবার রাতে আশরাফুল, শরীফুল ও নয়ন মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১২ জনের সশস্ত্র লোকজন হুমায়ুন কবীর ও জজ মিয়ার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে নিজেদের বাঁচাতে বাড়িতে থাকা নারী ও শিশুরা ভয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। পরে সন্ত্রাসীরা স্থানীয় ধোপাঘাট বাজারে এসে ইসমাইল হোসেনে চা স্টল ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে হুমায়ুন ও জজ মিয়ার সুসংগঠিত হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় ধোপাঘাট বাজারে অবস্থান করে।
এসময় দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে আশরাফুল, শরীফুল ও নয়ন মিয়া প্রতিপক্ষ হুময়ুন ও জজ মিয়াকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয় লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পাশবর্তী ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্যকপ্লেক্সে এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতে হুমায়ুন কবীর ও জজ মিয়াকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হুমায়ুন কবীরকে মৃত ঘোষণা করেণ।
নিহতের বড় ভাই লিটন মিয়া জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে আশরাফুল, শরীফুল ও নয়ন আমার ছোট ভাই হুমায়ুনকে কুপিয়ে আহত করে।
ওই ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে কোন আসামি গ্রেফতার করেনি। পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে আজ আমার ভাই হুমায়ুন কবীরকে প্রাণ দিতে হত না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।