বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঘরে আটকে রেখে গৃহবধূর নগ্ন ছবি ধারণ করে চাঁদা দাবি ও অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশ।
গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের শাসলাপিয়ালা গ্রাম থেকে অশ্বিনী কুমার বর্মণ (৩২) কে আটক করে পুলিশ। তিনি ওই ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও মৃত-বিজয় কুমার বর্মণ এর ছেলে।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আশিকুর রহমান (পিপিএম-সেবা)।
গৃহবধূর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০ দিন পূর্বে আউলিয়াপুর ইউনিয়নের নারায়ণ চন্দ্র বর্মনের ছেলে জীবন চন্দ্র বর্মন (২৬) ওই গৃহবধূকে প্রতারণা করে শহরে তার এক বাড়ীতে নিয়ে আসে। সেখানে একটি ঘরে তাকে আটকে রেখে জীবন ও অশ্বিনী কুমার তার গলায় ছুঁরি ঠেকিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে নগ্ন করে কিছু ছবি ধারণ করে এবং গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। এসময় বাড়ী পাহাড়ায় নিযুক্ত ছিল একই এলাকার বিলাতু (৪০) ও রাজেন্দ্র (৪০) নামে দুই ব্যক্তি।এক সময় জীবন ও অশ্বিনী গৃহবধূকে ধর্ষণের জন্য উদ্যত হলে গৃহবধূর চিৎকারে তারা ব্যর্থ হয়।
পরে জীবন ও অশ্বিনী মটরসাইকেলযোগে গৃহবধূকে তার স্বামীর বাড়ীর পাশে নামিয়ে দিয়ে বলে, তোমার স্বামীর কাছ থেকে আমাদের এক লক্ষ টাকা না দিলে তোমার এই ভিডিও আমরা ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবো। এদিকে লোকলজ্জা ও ভুল বোঝাবুঝির ভয়ে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকেও এ ঘটনা জানাননি।
কিন্তু গত ২৫ আগষ্ট বিকেলে গৃহবধূর স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার বাসায় প্রবেশ করে ইউপি সদস্য অশ্বিনী কুমার আবারও তার কাছে অশ্লীল ছবির বিনিময়ে এক লক্ষ টাকা দাবি করেন। এসময় সেই গৃহবধূ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাৎক্ষণিক সেই ইউপি সদস্য অশ্বিনী কুমারকে তার স্বামীর গচ্ছিত ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এসময় অশ্বিনী কুমার টাকা হাতে নিয়ে আগামী দুই দিনের মধ্যে বাকী আশি হাজার টাকা না দিলে এবং তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক না করলে অশ্লীল ভিডিওগুলি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।
এ ঘটনায় বিচলিত হয়ে ওই গৃহবধূ সমস্ত ঘটনা তার স্বামীকে জানান। পরে তার স্বামী বিষয়টি এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের জানালে গ্রামে একটি সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে অভিযুক্তরা তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করে এবং আবারও হুমকি দিয়ে বলে আমরা এটা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবো, কারো কিছু করার থাকলে যেন করে।
পরে উপায় না পেয়ে ওই গৃহবধূ ন্যায় বিচারের আশায় চারজনের নাম উল্লেখ করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অশ্বিনী নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।