মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এ সপ্তাহে ওয়েস্টমিনস্টারে এমপিরা যভাবে ফিরে এসেছেন তা এর থেকে বেশি নাটকীয় হওয়া সম্ভব নয়। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত ৩ সেপ্টেম্বর সংখ্যাগরিষ্ঠদের সমর্থন নিয়ে ইইউ থেকে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু একদিনের ব্যবধানেই তিনি পার্লামেন্টে তার প্রথম ভোটেই হেরে গেলেন। হাউজ অব কমন্সে ব্রেক্সিট নিয়ে জনসনের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে অধিক ভোট পড়ে এবং তিনি ২৭ ভোটে হেরে যান।
তবে ব্রেক্সিটের নিয়ন্ত্রণ নিতে এমপিদের ভোট ছিল শুধু একটা শুরু। এর একদিন পর এমপিরা হাউজ অব কমন্সে বেন-বার্ট বিলের পক্ষে ভোট দিলো। এই বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী যদি ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ’র সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে না পারে তাহলে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাজি করাতে হবে তাকে। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এ বিল পাস হয়ে যাবে।
হাউজ অব কমন্সকে নিয়ন্ত্রণ করতে বরিস জনসন ও তার উপদেষ্টারা এতদিন তেমন কোনো চেষ্টাই করেননি। তার প্রতি জেরেমি করবিনসহ ব্রেক্সিট ইস্যুতে অন্যান্য সমালোচকদের ছুড়ে দেয়া কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি। উল্টো তিনি করবিনের এমন প্রস্তাবকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আত্মসমর্পণের শামিল বলে আখ্যায়িত করেছেন। একইসঙ্গে অভিযোগ করেছেন, এই প্রস্তাব তাকে দরকষাকষির জন্য দুর্বল অবস্থানে নিয়ে যাবে এবং ব্রাসেলসে জয়লাভ অসম্ভব হয়ে পড়বে। তবে তার এ কথায় সায় দেয়নি বিরোধীরা। বরিস জনসনের অবস্থা পূর্বের তেরেসা মে’র থেকেও খারাপ হয়ে উঠেছে। গত এপ্রিলে তেরেসা মে বেন বার্ট বিলের ভোটে মাত্র এক ভোটে হেরেছিলেন। সেখানে বরিস জনসনকে হারতে হয়েছে ২৭ ভোটে।
এদিকে নিজের পরাজয়কে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বিশেষ কৌশলের সঙ্গে সামলেছেন। তিনি বলেছেন, তাকে অবশ্যই বৃটেনের আইন মানতে হবে। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে তাতে ৩১শে অক্টোবরের পর আর ব্রেক্সিট বিলম্বিত করা সম্ভব নয়। তাই তার কথা হচ্ছে, এর আগেই একটি নির্বাচন দেয়া হোক। এতে করে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দরকষাকষি করবে। এ জন্য তিনি আগামী ১৫ই অক্টোবর নির্বাচনের প্রস্তাব দেন।
তবে ২০১১ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী চাইলেই আর নির্বাচনের ডাক দিতে পারবেন না। এর জন্য তাকে অবশ্যই পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেতে হবে। অর্থাৎ এ জন্য বরিস জনসনের এখন লেবার পার্টির এমপিদের সমর্থনও দরকার পড়বে। তবে জেরেমি করবিনও এখন নির্বাচন চাচ্ছেন। তবে তার কথা হচ্ছে এর আগে অবশ্যই বেন বার্ট বিল পাস হতে হবে যাতে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট আটকানো যায়। কিন্তু সবশেষে বৃটেন একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তবে এখানে ধরা খেতে পারেন বরিস জনসন। সামপ্রতিক নির্বাচনগুলোতে লেবারদের বিরুদ্ধে টরি এমপিরা অধিক পয়েন্ট পেয়েছেন। তারপরেও নির্বাচন কঠিন হয়ে উঠতে পারে। টরি এমপিরা স্কটল্যান্ড, লন্ডন ও দক্ষিণে আসন হারাতে পারে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে তখন অবশ্যই মিডল্যান্ড ও উত্তরে বড় জয় পেতে হবে। এইসব অঞ্চলে ব্রেক্সিটপন্থি ভোটারদের সংখ্যা বেশি। তবে তারা টরি বিরোধীও। তাই বরিস জনসনের উপদেষ্টারা যা ভাবছেন একটি নির্বাচন হলে সেটিতে জয় পাওয়া তার থেকে অনেক বেশি কঠিন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।