পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গতকাল শনিবার দলের মনোনয়ন বোর্ডে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তিনি বলেন, বৈঠকে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে, প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত আকারে কিছু হয়নি।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদ‚ত আর্ল রবার্ট মিলারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ছাত্রলীগের কিছু কর্মকান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষোভ থাকতে পারে। তবে গতকালকের মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়ে কোনো চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে গতকাল মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা শেষে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, বিভিন্ন মাধ্যমে ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আর তাতে ছাত্রলীগের বর্তমান শীর্ষ নেতাদের ওপর তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে কমিটি ভেঙ্গে দিতে বলেছেন। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃতি দিয়ে ওই নেতারা বলেন, আমি ছাত্রলীগের এমন নেতা চাই না, যাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পর্যন্ত ওঠেছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ছাত্রলীগের ওপর প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেও দেখা দেননি তিনি। উপস্থিত কেন্দ্রীয় নেতারা তখন দু’জনকে গণভবন থেকে চলে যেতে বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গণভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে সবার সামনেই বকাঝকা করেন। তিনি বলেন, চলে যাও এখান থেকে। পরে ছাত্রলীগের দুই নেতাই বেরিয়ে যান। বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, বৈঠক শেষে ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানের সঙ্গে ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা ছিল। রংপুরের উপনির্বাচন, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে তারা বসেছিলেন। মনোনয়নে বোর্ডের মিটিংয়ে ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, কথা প্রসঙ্গে হয়তো কথা আসে। এটা নিয়ে সিদ্ধান্তআকারে কোনো কথা হয়নি। কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফোরাম ওটা (বৈঠক) ছিল না। ওখানে ইনসাইডে আমরা অনেক কথাই বলতে পারি, অনেক আলোচনাই করতে পারি। এখানে কোনো কোনো প্রসঙ্গে ক্ষোভের প্রকাশও হতে পারে বা কারও কারও রিঅ্যাকশনও আসতে পারে। কিন্তু অ্যাজ এ জেনারেল সেক্রেটারি অব দ্য পার্টি আমার এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না এটা ইমপ্লিমেন্টেশন প্রসেসে যায়। এখানে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে,প্রতিক্রিয়া হতে পারে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত আকারে কিছু হয়নি।
ছাত্রলীগের কর্মকান্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ কি না? এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, কিছু কিছু ব্যাপারে তো থাকতেই পারে। ছাত্রলীগেরও বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত কিছু কিছু ব্যাপার আছে। সেগুলো নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগ থাকতেই পারেন, এটা খুব স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী সভায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ কথা বলেছেন কি না? জানতে চাইলে কাদের বলেন, যতক্ষণ এটা সিদ্ধান্ত আকারে না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত এর সত্যতা আমি স্বীকার করব না।
ছাত্রলীগের কর্মকান্ড নিয়ে সন্তুষ্ট কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেগুলো সন্তোষ প্রকাশ করার মতো সেগুলোতে সন্তোষ প্রকাশ করি, আর যেগুলো লোকে পছন্দ করে না, সেগুলো আমিও পছন্দ করব না। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং সে ব্যাপারে আমি তাদের সতর্ক হতে বলি, সাবধান হতে বলি, তাদের সুনামের ধারায় ফিরে আসতে বলি। তাদের ভালো খবরের শিরোনাম হতে বলি এটা আমি অহরহ বলে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।