পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আগে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতাকে ‘অবৈধভাবে’ ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার বিকেলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে নির্বাচিত ৮ সদস্যকে বহিষ্কার করে উপ নির্বাচন দেয়ার দাবি করা হয়। কয়েকটি বাম সংগঠনের নেতারাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এরআগে রোববার একটি জাতীয় দৈনিকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে আরও রয়েছে, ভর্তি কার্যক্রমে সহায়তা করায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহŸায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন চিরকুটের মাধ্যমে ছাত্রলীগের ৩৪ জন নেতাকে যে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিরোধী কাজ ও নৈতিকতার স্খলন। তাই তাদের উচিত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করা। এছাড়া, ডাকসুর পদগুলো থেকে ছাত্রলীগের আটজন নেতাকে বহিষ্কার করে তাদের শূণ্য পদগুলোতে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।’
যুগ্ম আহŸায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘প্রশাসন বিশ^বিদ্যালয়কে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গেছে এর যে একটা গৌরবোজ্জ্বল পরিচয় ছিল তার পরিচয় দিতে শিক্ষার্থীরা লজ্জা বোধ করে। আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে রোকেয়া হলের নিশিরাতের অবৈধ নির্বাচিত নেত্রীরা কিভাবে অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করেছে। এসকল অনিয়মের মূল হোতা হলেন ভিসি। তার সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলতে হবে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়গুলো দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন।’
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখা সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা জেনেছিলাম ঢাবি প্রশাসন শুধু কারচুপির মধ্য দিয়ে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ছাত্রলীগকে জিতিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা জানলাম শুধু কারচুপি নয়, তারা কারচুপি ও জালিয়াতির মাধ্যমে ছাত্রত্ব দিয়ে তাদের ডাকসুতে স্থান দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তারা ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যকার সম্পর্ককে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। এর মাধ্যমে তাদের নৈতিক স্থলন ঘটেছে। তাই অবিলম্বে পুনরায় ডাকসু নির্বাচন দেওয়া এবং ভিসিসহ সংশ্লিষ্ট ডিন, চেয়ারম্যান ও পরিচালকের পদত্যাগের দাবি জানান তিনি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।