চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নে ওলামায়ে কেরামদের সাথে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া ছাত্র ও মাদ্রাসার উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং নিহত ও আহতদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ সকল প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, অন্যথায় আবারো ধর্মপ্রাণ মানুষ গর্জে উঠবে এবং ২০০১ সালের মতো সরকার পতন তরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, আবারো প্রমাণ হয়েছে, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কিছু তাপস কুমার ও আকুল চন্দ্র মার্কা ইসলামী ও মুসলিমবিদ্বেষী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দলীয় লোকজন আছে। তারাই দেশের সর্বনাশ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে। এই সকল বামপন্থী, রামপন্থী, খোদাদ্রোহী নাস্তিকদের দমনে ব্যর্থ হলে অতীতের মতো বর্তমান সরকারও ডুববে।
মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, কোনো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দলীয় শ্লোগান দিয়ে হামলা হতে পারে না। এটা দুশমনদের সুপরিকল্পিত হামলা। মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে দলীয় সন্ত্রাসীরা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। হামলাকারীরা শুধুমাত্র ইসলাম, মানবতা, শান্তি-শৃঙ্খলারই দুশমন নয়, তারা দেশেরও বড় দুশমন।
মাওলানা হামিদী বলেন, মসজিদ-মাদ্রাসায় জঙ্গি-সন্ত্রাসী না খুঁজে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করুন। দেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ থাকবে না। এদেশ ৯৫ ভাগ মুসলমানদের দেশ। কোনো নাস্তিক ও ইহুদী-খৃষ্টান ও ব্রাহ্মণ্যবাদীদের দালালদের কাছে দেশ ইজারা দেয়া হয় নাই। নাস্তিকদের আস্ফালন বন্ধ করতে ঐক্যবদ্ধ্যভাবে কঠিন কর্মসূচি আসবে ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী ঐক্যজোট ও অঙ্গদলসমূহ
২০ দলভুক্ত ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডঃ মাওলানা আব্দুর রকিব ও মহাসচিব অধ্যাপক মাওঃ আব্দুল করিম খান, নেজামে ইসলাম পার্টির শীর্ষনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোঃ শওকত আমীন পীর সাহেব বি-বাড়ীয়া ও মাওঃ আবদুল মাজেদ আতাহারী, ইসলামী শ্রমিক সমাজের মহাসচিব শামসুল আলম, ইসলামী যুবসমাজের মহাসচিব মাওঃ মোঃ ইসমাঈল বুখারী, ইসলামী ছাত্রসমাজের সভাপতি মোঃ ইলিয়াস আতহারী ও মহাসচিব মোঃ রফিকুল ইসলাম ও ইসলামী কৃষক সমাজের আহ্বায়ক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন আনসারী এক যৌথ বিবৃতিতে বি-বাড়িয়া মাদ্রাসা ভাঙচুর ও ছাত্র হতাহতকারীদের গ্রেফতারপূর্বক আইন অনুযায়ী বিচার এবং দুটি মাদ্রাসা বন্ধকারী পশু মন্ত্রী সায়েদুল হককে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারের মধ্যে ও সাথে অবস্থানকারী কিছু জনবিরোধী ও ধর্মবিরোধী লোক চরম বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করে তুলছে। নেতৃবৃন্দ এইসব দু®কৃতিকারীদের যথাযথ বিচারের মাধ্যমে কঠোরভাবে দমন করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
ইসলামী শ্রমিক সমাজ
মাওলানা আব্দুর রকিব এডভোকেটের নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক সমাজের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাওলানা মোঃ শওকত আমীন পীর সাহেব বি-বাড়িয়া, মহাসচিব শামছুল আলম, উপদেষ্টা ফারুক খান চট্টগ্রাম, সহ-সভাপতি হাফেজ মাওঃ হারিছুল হক নরসিংদী, মাওঃ আব্দুল বাতেন হবিগঞ্জ, মাওঃ মুঃ ইসমাইল বোখারী, মাওঃ নুরুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান খাদেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওঃ আনোয়ার হোসাইন আনসারী, মহানগর সভাপতি মাওঃ মুহাম্মাদ হাছান ও সেক্রেটারী মাওঃ আল-আমিন, সদস্য মাহমুদুল করিম খান, নাজমুল হক বি-বাড়িয়া, আবুল কালাম সাতক্ষীরা, হাফেজ মুঃ শামীম, মুঃ রফিকুল ইসলাম, শামীমুজ্জামান আজাদ, জাহিদুল ইসলাম, মাওঃ আনোয়ার হোসেন চাঁদপুরী, সাদ্দাম হোসেন মাহমুদ, মুঃ ইকবাল মীরের সরাই, মোস্তফা কামাল, কাওছার আহমদ, মাসউদুর রহমান, হাবিবুর রহমান যাত্রাবাড়ী, মাওঃ এমদাদুল হক বরিশাল, মাওঃ এরশাদ উল্লাহ চট্টগ্রাম, মাওঃ আরমান হোসাইন গাজীপুর, মাওঃ আবু তৈয়ব চট্টগ্রাম, মাওঃ আলমগীর বরিশাল, ছাইদুল হক, মুফতি নজরুল ইসলাম কেরানীগঞ্জ, মাওঃ এনামুল হক জেহাদী, মাওঃ আব্দুল আলীম কক্সবাজার, মাওঃ রেজাউল করিম মীরের সরাই, মাওঃ জালাল উদ্দিন কক্সবাজার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।