ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
পিরোজপুর সদর উপজেলার ৭৪ নং মধ্য নামাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানমের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ ও বিচার দাবী করে বিদ্যালয়ের ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিদ্যালয়ের গিয়ে কোন শ্রেণীতে কোন শিক্ষার্থীদের পাওয়া যায়নি। এ সময় সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রুহুল আমীন বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানে চেষ্টা করলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিত করতে পারেননি।
বিদ্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে জানান, ৭৪ নং মধ্য নামাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণীতে মোট ১০১ জন শিক্ষার্থী লেখা পড়া করে। কিন্তু এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানম বিদ্যালয়টিকে নিজের ইচ্ছা মতো চালিয়ে লেখাপড়ার মান খারাপ করে দিচ্ছে। নার্গিদ খানম বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত হয় না এবং তেমন কোন ক্লাসও নেয় না। এ বিষয়ে অভিভাবকরা জানতে চাইলে শিক্ষার্থীদের সামেনই অভিভাবকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষার্থীর মারধর ও অকথ্যভাষা ব্যবহার করে থাকে। এ সকল কারনেই এই প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবী করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এক সাথে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ের যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আলম শেখ জানান, বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানম তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে ইচ্ছা স্বাধীন মতো চালান। এ সবের প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা ও নানা রকম হুমকি দিয়ে থাকে তাই তিনি ম্যানেজিং কমিটি থেকে সড়ে এসেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সেলিম শেখ জানান, প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানম ম্যানিজিং কমিটির কোন সিদ্ধানতই মেনে চলে না। এর অন্যতম কারন হচ্ছে তার স্বামী নাজিরপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা। তাই তিনি কাউকেই বয় করে না । নিজের ইচ্ছা মতো বিদ্যালয়ে আসে আর বিদ্যালয়ে থেকে চলে যায়। এছাড়া বিভিন্ন প্রায়ই তিনি বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে। তাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে স্কুলে যাওয়া বনধ করে দিয়েছে। এ ঘটনাটি রোববার অফিস খোলা হলে উপরস্থ কর্মকর্তাদের লিখিত জানানো হবে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অরবিন্দু সমদ্দার জানান, বিদ্যালয়ের প্রধঅন শিক্ষক নার্গিদ খানম বর্তমানে ছুটিতে আছে আর শিক্ষার্থীরা কেন বিদ্যালয়ের আসেনি তা তারা জানেন না। তাই শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনার বিষয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলা হবে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: রুহুল আমীন জানান, তিনি বিদ্যালয়ের এসে বিষয়টি জানাতে পেরেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানম শনিবার ছুটিতে আছেন। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের ফিরিয়ে আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক নার্গিস খানমকে পাওয়া যায়নি। তিনি ছুটিতে আছে। এছাড়া তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।