Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গোপালগঞ্জের বেসিনে উন্নত প্রযুক্তির পাইলট প্রকল্প : ছয়শ’ বিঘা জমিতে মসুর ডালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জ বেসিনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইস্টিটিউট উদ্ভাবিত মসুর ডালের বাম্পার ফলনের ইঙ্গিত। এ বছর গোপালগঞ্জে প্রতি বিঘায় এ জাতের মসুর ডাল ৬ থেকে ৭ মন উৎপাদিত হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত মসুর ডাল দেশের মসুরের চাহিদা পূরণ করবে। দেশে এ ডালের আবাদ বৃদ্ধি পেলে বিদেশ থেকে আর মসুর আমদানি করতে হবে না। এ ডালের চাষাবাদ করে গোপালগঞ্জের কৃষক বাম্পার ফলন পেয়ে অধিক মুনাফা ঘরে তুলবেন। গোপালগঞ্জ বেসিনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত মসুর ডালের উন্নত প্রযুক্তির উপর কৃষক সমাবেশ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর ধৈলইতলা গ্রামে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডাল গবেষণা উপ-কেন্দ্র, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও গোপালগঞ্জ বেসিনে ফসল উৎপাদনে উন্নত প্রযুক্তির পাইলট প্রকল্পের উদ্যোগে মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল। ঈশ্বদী ডাল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক জেবুন নেছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি সমীর কুমার গোস্বামী, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড.মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন গোপালগঞ্জ বেসিনে ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তির পাইলট প্রকল্পের পি.আই ও গাজীপুর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফ হোসেন। এ বছর গোপালগঞ্জ বেসিনে ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তির পাইলট প্রকল্পের আওতায় গোপালগঞ্জের ৬০০ বিঘা জমিতে গোপালগঞ্জ বেসিনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত মসুর ডালের আবাদ করা হয়। ৬শ’ বিঘা জমিতেই মসুরের বাম্পার ফলন হবে গোপালগঞ্জ বেসিনে ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তির পাইলট প্রকল্পের পি.আই ও গাজীপুর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফ হোসেন জানিয়েছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর ধৈলইতলা গ্রামের মসুর ক্ষেত পরিদর্শন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর ধৈলইতলা গ্রামের কৃষক গাজী নজরুল ইসলাম, আবু হানিফ গাজী, আসলাম শেখ বলেন, আমরা গোপালগঞ্জ বেসিনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত মসুর ডালের আবাদ করেছি। জমিতে মসুরের ফসল দেখে চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জাতের মসুর বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ মণ ফলে। কিন্তু এ জাতের মসুর ৬ থেকে ৭ মণ ফলবে বলে ধারণা করছি। এবার মসুরের বাম্পার পেয়ে কাঁচা টাকা ঘরে তুলবো। বেসিনে ফসল উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তির পাইলট প্রকল্পের পি.আই ও গাজীপুর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফ হোসেন বলেন, গোপালগঞ্জের কৃষককে গোপালগঞ্জ বেসিনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত মসুর ডাল আবাদে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তারপর বীজ, সার, ছত্রাক নাশক প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণ লভ্য জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তারা মসুরের আবাদ করে বাম্পার ফলন পেতে যাচ্ছেন। আর ১০/১৫ দির পরেই তারা এ ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের গবেষণা বিভাগের পরিচালক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক গোপালগঞ্জের মসুর ক্ষেত পরিদর্শন করে বলেন, গাজীপুর ডাল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফ হোসেন এ প্রকল্প নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গবেষণা করেছেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জে এ প্রকল্প নিয়ে এসেছেন। এখানে গবেষণার রেজাল্ট প্রয়োগ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। এ জাতের মসুর চাষ সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে আবদ বৃদ্ধি করা হলে দেশে মসুরের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. রফিকুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ডালের মাঠ দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। আমরা ডাল, তেল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি করে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কাজ করছি। এভাবে সব ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে কৃষক স্বাবলম্বী হবে। দেশের ধান, তেল, ডালসহ খাদ্য চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গোপাল


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ