পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় তাকে দেখিয়ে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা হলেন মো. সোহেল হোসেন (৩১)। তিনি শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সোহেল সেনগাঁও গ্রামে একটি মাছের খামার করেছেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের নিয়ে সময় কাটান।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রেমের নাম করে সোহেল দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছেন। মেয়েটি সোহেলকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা এড়িয়ে যান। একপর্যায়ে মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানান। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের ঘটনাটি জানান। পরে গত মঙ্গলবার রাতে সোহেলসহ দুজনকে আসামি করে মেয়ের বাবা শাহরাস্তি থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলার অপর আসামি হলেন জাকারিয়া হোসেন (৩৫)।
থানায় মামলার পর গত রাতে সোহেল নেতা-কর্মীদের নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য মেয়ের বাবাকে চাপ দেন। এলাকার লোকজন তখন সোহেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। শাহরাস্তি থানা-পুলিশ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সোহেলকে শাহরাস্তি থানায় না রেখে হাজীগঞ্জ থানায় রাখে।
ধর্ষিতা কলেজছাত্রী জানান, গত দেড় বছর ধরে প্রথমে প্রেমের ও পরে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে তার সঙ্গে সম্পর্ক করেন সোহেল হোসেন। কিন্তু একপর্যায়ে দৈহিক সম্পর্ক হলে পরে তা অস্বীকার করেন সোহেল। মেয়েটির বাবা ওয়ারুক বাজারের ওই নৈশপ্রহরী জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এবারে এইচএসসি পাস করেছে। বেশ মেধাবীও। কিন্তু মেয়ের এমন সর্বনাশ করার সোহেলের শাস্তি দাবি জানান তিনি।
শাহরাস্তি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, সোহেলকে গতকাল দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি জাকারিয়াকে ধরার জন্য অভিযান চলছে। আর মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে হাজীগঞ্জ থানা হেফাজতে থাকা সোহেল ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। দলীয় রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়ে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমদাদুল হক মিলনের মুঠোফোনে কল করলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে সংযোগ কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।