Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্দোলনের পথে তৃণমূল গোর্খারা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ভারতের আসামের নাগরিক তালিকাকে (এনআরসি) কেন্দ্র করে ক্রমশ রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের পথে হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল তৃণম‚ল কংগ্রেস। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মস‚চির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন গোর্খা স¤প্রদায় ভিত্তিক দলগুলোর নেতারাও। এ নিয়ে তারা আসাম সরকারের সঙ্গে আলোচনায়ও বসবেন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামে এনআরসি প্রকাশের পর থেকেই এর বিরুদ্ধে সরব হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণম‚ল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্র্জি। এক লাখ গোর্খার নাম বাদ পড়ায় তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে সোমবার তৃণম‚লের বৈঠকে আলোচনার পর ঠিক হয়, এনআরসি বাতিলের দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মস‚চি পালন করবে দলটি। ৭ ও ৮ তারিখ এ কর্মস‚চি পালন করা হবে। ১২ সেপ্টেম্বর কলকাতায় হবে বড় মিছিল। উত্তর-প‚র্ব ভারতের রাজ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বয় রাখার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ফিরহাদ হাকিম ও সুখেন্দু শেখর রায় চৌধুরীকে। অন্যান্য রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্ব^য় রাখার জন্য বিশেষ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৈঠকে উপস্থিত থাকা তৃণম‚লের এক নেতা এনডিটিভিকে বলেন, ‘বৈঠকে আসামের নাগরিকপঞ্জির চ‚ড়ান্ত তালিকা থেকে যে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছেন, তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা ব্যানার্জি। তিনি দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষের কাছে গিয়ে, বিজেপির অশুভ দিক তুলে ধরতে, যেমন- তারা যদি ক্ষমতায় আসে বাংলায় এনআরসি করা হবে।’ এদিকে শনিবার প্রকাশ হওয়া তালিকায় গোর্খা স¤প্রদায়ের লক্ষাধিক বাসিন্দার নাম বাদ পড়ায় দার্জিলিংয়ের পাহাড় এলাকাজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে গোর্খাদের একাধিক সংগঠন। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে পাহাড়ের সব দলকে একত্রিত হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন বিনয়পন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাং। এনআরসির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে জাপ, সিপিআরএম, ভারতীয় গোর্খা পরিসংঘও। বিনয় তামাং বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ১ লাখ ৬৩ হাজারেরও বেশি গোর্খার নাম বাদ পড়েছে। ভোট নিয়ে এখন পাহাড়ের মানুষদের বিদেশি তকমা দিয়ে দেশ থেকে তাড়াতে চাইছে বিজেপি।’ জিটিএর তথ্য বলছে, পাহাড়ের বেশিরভাগ মানুষের কাছে জমির কোনো কাগজ নেই। দার্জিলিং, কার্শিয়াং বা কালিম্পংয়ের যে জমিতে তারা বাড়ি-ঘর করেছেন বা ব্যবসা করছেন সেই জমির কোনোটির মালিক বন দফতর, কোনোটি ডিআই ফান্ড কর্তৃপক্ষের, কোনোটি আবার সিঙ্কোনা বা চা বাগানের জমি। স¤প্রতি বিশেষ কমিটি গঠন করে পাহাড়ের বাসিন্দাদের পাট্টা দেয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এ অবস্থায় আসামসহ উত্তর-প‚র্ব ভারত এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের গোর্খাদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলারও ডাক দিয়েছেন বিনয়। দার্জিলিংয়ে রোববার দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করে তিনি জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই তাদের একটি প্রতিনিধি দল আসাম যাবেন। আগামী সপ্তাহে কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও তারা বৈঠক করবেন। টাইমস অব ইন্ডিয়।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ