পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত দুটি হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে ভ্যাসেলের নির্মাণ শেষে রূপসা নদীতে ভাসানো হয়েছে। গতকাল এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে খুলনা শিপইয়ার্ডের এমডি ক্যাপ্টেন এম এস করিম দ্বিতীয় সার্ভে ভ্যাসেলটির লঞ্চিং করেন। এসময় প্রতিষ্ঠানটির জিএমবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর তৎকালীন নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমদ নৌবাহিনীর জন্য এসব সার্ভে ভ্যাসেলের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন। গত ফেব্রæয়ারিতে প্রথম সার্ভে ভেসেলটির লঞ্চিং শেষে চ‚ড়ান্তভাবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। দুটি জরিপ জাহাজই খুব শিগগিরই বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পরে কমিশনিং করা হবে। প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা শিপইয়ার্ডে প্রথমবারের মত এ ধরনের বিশেষায়িত জরিপ নৌযান নির্মিত হল।
নবনির্মিত হাইড্রোগ্রাফি সার্ভে ভ্যাসেলগুলোর প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৩২.৭২ মিটার। প্রস্থ ৮.৪০ মিটার। অষ্ট্রেলিয়ান ডিজাইনে ক্যাটামেরন হালে ৩.১৭ মিটার গভীরতার নৌযান দুটি ঘণ্টায় ১২ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। নৌযানগুলোতে দুটি করে ৬শ’ অশ্ব শক্তির সুইডেনের ভলেভাপেন্টা মূল ইঞ্জিন ছাড়াও ৮০ কিলোওয়াটের ২টি ও ১৬ কিলোওয়াটের ১টি জেনারেটর থাকবে। অত্যাধুনিক এসব জরিপ জাহাজগুলোতে ৩ ধরনের ইকো সাউন্ডার ছাড়াও সাইড স্ক্যান সোনারও সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি নৌযানে বিশ্বমানের নেভিগেশন ও কমিউনিকেশন ইকুইপমেন্ট সংযোজন করা হয়েছে। দেশের সমুদ্র উপক‚ল বন্দর ও পোতাশ্রয় সংলগ্নœ এলাকায় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত এসব জরিপ জাহাজের সাহায্যে একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় নিখুতভাবে হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে সম্পন্ন করতে পারবে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।