বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার রূপসাপাড়ে কর্মযজ্ঞের উৎসব চলছে। এটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের উৎসব। দিনরাত কাজ চলছে নদীর দুইপাড়ে। সেখানে পুরোদমে চলছে রূপসা রেলসেতু নির্মাণ কাজ। কর্মী, শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের কাজের শব্দে মুখর পুরো এলাকা। সেতু এখন স্বপ্নের খোলস থেকে বেরিয়ে রূপ নিয়েছে দৃশ্যমান বাস্তবতায়। বহুদূর থেকেও সেতুর অবয়ব চোখে পড়ছে।
খুলনা-মংলা রেল লাইন প্রকল্পের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। ইতিমধ্যেই এ প্রকল্পের প্রধান অংশ রূপসা নদীর উপর রেলসেতুতে পাঁচটি স্প্যান স্থাপন হওয়ায় দৃশ্যমান হয়েছে সেতুর অবয়ব। এছাড়া রেল লাইন স্থাপন ও পাইলিংসহ প্রকল্পের কাজের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে চলছে রেল লাইন এবং বাংলাদেশে প্রথম সুপার স্ট্রাকচারের রেল সেতুর নির্মাণ কাজ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বেশকিছু সমস্যা থাকলেও সেগুলোকে টপকিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে খুলনা-মংলা রেল প্রকল্প সম্পন্নের আশা কর্মকর্তাদের।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সর্কভুক্ত প্রতিবেশী দেশগুলোর যোগাযোগ সহজীকরণ, মংলা বন্দরের গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে ২০১০ সালে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। এ প্রকল্পের আওতায় রেললাইন, সেতু নির্মাণ ও জমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের প্রথম সুপার স্ট্রাকচারের রেল সেতু ও খুলনা-মংলা রেল লাইন নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যেই এ প্রকল্পের ৫০-৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী রেল সেতু ও রেললাইন নির্মাণ কাজ চলছে। তাই নির্ধারিত সময় ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে প্রত্যাশা প্রকল্প পরিচালকের। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরের সঙ্গে কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভূটানসহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থ-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে বললেন জেলা প্রশাসক। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে রেললাইনের জন্য ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, সেতুর জন্য ১ হাজার ৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং বাকি টাকা জমি অধিগ্রহণে ব্যয় করা হয়েছে।
এদিকে, প্রতি মুহূর্তেই এগিয়ে চলছে স্বপ্নের বিনির্মাণ। নদী শাসন ও পাইলিংয়ের পর উঠতে শুরু করছে পিলার। আর নির্মাণ স্থলে স্প্যান বসানোর পর বোঝা যাচ্ছে কেমন হবে, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের রূপসা রেলসেতুর অবয়ব। এরইমধ্যে সেতুর ৪০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেতু নির্মাণের সঙ্গে জড়িতরা।
সেতুর পশ্চিম পাড় বটিয়াঘাটা উপজেলার পুটিমারী ও পূর্ব পাড় খাড়াবাদ এলাকায় দিন-রাত অবিরাম চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। কাক্সিক্ষত গতিতেই এগিয়ে চলছে কাজ। দিন যতই যাচ্ছে রূপসার বুকে একের পর এক খুঁটি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করেছে। নদীর প্রবল ¯্রােত উপেক্ষা করে উভয় প্রান্তে চলছে নির্মাণযজ্ঞ।
পাইল স্থাপনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে ভারী সব যন্ত্রপাতি। পুরোদমে পাইল স্থাপন ও পিলার তৈরির কাজ নিয়ে কর্মযজ্ঞ চলছে বহুল প্রত্যাশিত রূপসা রেলসেতু নির্মাণ। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। নির্মাণ কাজ শেষে ২০২০ সালের মধ্যে খুলনা ও মোংলা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে সারাদেশের রেল যোগাযোগ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, খুলনা-মোংলা রেললাইন চালু হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
এদিকে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের সিংহভাগ কাজ চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথ সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।