Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডোরিয়ানের আঘাতে লন্ডভন্ড বাহামা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:৩৪ পিএম

আশঙ্কা ছিল গত কয়েকদিন ধরেই। অবশেষে বাহামায় আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান। রোববার স্থানীয় সময় দুপুরে বাহামার অ্যাবাকো দ্বীপের এলবো কে অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। এর ফলে এক শিশু নিহত ও প্রায় ১৩ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আটলান্টিকে এত ভয়ঙ্কর ঝড় আগে হয়নি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘ক্যাটাগরি ৫’ ডোরিয়ান যে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে সে ব্যাপারে সতর্ক করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আটলান্টিক সাগর থেকে সেই ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান ৪ মাত্রার শক্তি অর্জন করে। পরে সেটি ৫ মাত্রায় পৌঁছেছে বলে জানা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের খবর জানিয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার বা এনএইচসি।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বাহামায় প্রায় ১৩ হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্থ কিংবা ধ্বংস হয়ে গেছে। গ্রেট এ্যাবাকো দ্বীপে এ ঘটনায় ৮ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার গতি নিয়ে ঝড়টি বাহামা দ্বীপপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হয়। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, স্থানীয় সময় ঠিক রাত ১১টায় বাহামায় আছড়ে পড়ে সেই ঝড়। ঝড়ের গতিবেগ ১৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হয় তখন।

ঘূর্ণিঝড়টি বাহামায় আঘাত হানার সময় সাগরে ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। তবে স্থানীয় লোকজনকে আগেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই দ্বীপপুঞ্জে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে ডোরিয়ানের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বাহামা দ্বীপপুঞ্জ। দ্বীপে ঘণ্টায় ১৮০ মাইল বেড়ে বাতাস বইছে। এখানকার বহু বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে এবং মারাত্মক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ের প্রভাবে গ্র্যান্ড বাহামা দ্বীপে তীব্র বাতাস এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

গ্রিনিচ সময় রাত তিনটার বুলেটিনে জানানো হয়, সোমবার স্থানীয় সময় রাতে অথবা আজ মঙ্গলবার ফ্লোরিডায় আঘাত হানতে পারে ডোরিয়ান। ফ্লোরিডায় আঘাত করার আগে ডোরিয়ান আরও শক্তি অর্জন করতে পারে বলেও পূর্বাভাসে সতর্ক করেছে মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ। এর জেরে বাহামায় ব্যাপক বন্যা হতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। হবে প্রবল বৃষ্টিও।

এর আগে ১৯৯২ সালে আমেরিকার দক্ষিণপূর্বে আছড়ে পড়া ৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় অ্যান্ড্রুতে নিহত হয় ৬৫ জন। ধ্বংস হয়ে যায় প্রায় ৬৩ হাজার বাড়িঘর। অ্যান্ড্রুর পর ডোরিয়ানই ফ্লোরিডায় আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় হতে পারে বলে শঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আটলান্টিক সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এক সপ্তাহের খাদ্য, পানীয় ও ওষুধ মজুদ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডেসান্টিস ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ন্যাশনাল গার্ডের আড়াই হাজার সদস্য মোতায়েন করেছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরও দেড় হাজার সেনাকে। ঝড়টি ‘সত্যিকারের দানবের আকার নিতে পারে’ বলে সতর্ক করেছেন ট্রাম্প। সতর্কতাস্বরূপ সোমবার স্থানীয় সময় ২ টো থেকে সব ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে অরল্যান্ডো বিমানবন্দরে। সূত্র: সিএনএন, গার্ডিয়ান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ