পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১০ বছর বয়সে মা হলেন ধর্ষণের শিকার এক শিশু। সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের আশায় ধারে ধারে ঘুরছে শিশুটির পরিবার। আর সন্তানকে কোলে নিয়ে অঝোরে কাঁদছে বালিকা মা। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামে । নবীনগরে শিশু ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া মাগুরায় ধর্ষণ চেষ্টার এক যুবকসহ বিভিন্ন স্থানে ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বরগুনা : ধর্ষণের শিকার হয়ে মাত্র ১০ বছর বয়সে মা হলো শিশুটি। চারদিন আগে জন্ম নেয়া সন্তানকে কোলে নিয়ে কাঁদছে সে। সন্তানের পিতৃ পরিচয় পাওয়ার জন্য স্থানীয় সালিশদারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে শিশুটি ও তার পরিবার। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর স্থানীয় সালিশদারদের কাছে বার বার গিয়েও ন্যায়বিচার পায়নি শিশুটি।
দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামে ওই শিশুর বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, সন্তান কোলে বসে আছে শিশুটি। মাঝে মাঝে শিশুসুলভ আচরণ করছে। কিছুক্ষণ পর পর অঝোরে কেঁদে ওঠে। এরপর সন্তানকে বিছানায় রেখে বাইরে চলে যায় শিশুটি।
নির্যাতনের শিকার শিশু ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, আট থেকে নয় মাস আগে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার শিশুটিকে ধর্ষণ করে বেতাগী উপজেলার দক্ষিণ হোসনাবাদ গ্রামের কালাম ব্যাপারীর ছেলে আক্কাস ব্যাপারী (২৫)। ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলে শিশুটিকে হত্যার হুমকি দেয় আক্কাস। প্রায় পাঁচ মাস আগে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, শিশুটি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
তার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি স্থানীয় সালিশদারদের জানায় পরিবার। তখন শিশুটিকে বিয়ের জন্য আক্কাসকে চাপ দেয়া হয়। কিন্তু আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার জন্য নির্যাতিত শিশুটির পরিবারকে প্রস্তাব দেয় স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ অবস্থায় অর্থের বিনিময়ে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শিশুটির পরিবার।
এদিকে, নির্যাতিত শিশুটিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় আক্কাস। এরপর নিরূপায় হয়ে মামলা করে শিশুটির পরিবার। এরই মধ্যে গত বুধবার রাতে ছেলেসন্তানের জন্ম দেয় নির্যাতিত শিশুটি।
নির্যাতিত শিশুর ভাই বলেন, আমার ছোট বোনের সর্বনাশ করেছে আক্কাস ব্যাপারী। ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পারিবারিকভাবে আক্কাসের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে অনেক চেষ্টা করেছি আমরা। স্থানীয় সালিশদারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কিন্তু আক্কাস আমার বোনকে বিয়ে করতে রাজি না হয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় বুধবার আমার বোন পুত্রসন্তানের জন্ম দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আক্কাস ব্যাপারীর বাবা কালাম ব্যাপারী বলেন, আমার সম্মানহানি করার জন্য এলাকার একটি কুচক্রী মহল এসব কথা রটিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই মেয়েটির পরিবার আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলার পর থেকে আমার ছেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ওই মেয়েটির সন্তানের বাবা আমার ছেলের নয়।
তবে হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বলেছেন, শুরু থেকেই আমরা বিষয়টি জানি। বিষয়টি সমাধানের জন্য ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে বিয়ের জন্য আক্কাস ব্যাপারীকে বলেছি। কিন্তু এতে আক্কাস রাজি হয়নি। পরে নির্যাতিত শিশুটির পরিবারটিকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বলেছি ।
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শাহপুর গ্রামে দশ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ মিলেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানাতে পারেননি শিশুর স্বজনরা। এ বিষয়ে শিশুর মা বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গত শনিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।
শিশুর মা পারভীন আক্তার অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে ফাতেমা মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পর মাঠে খেলতে যায়। এরপর থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড়ে উলঙ্গ অবস্থায় তার গলিত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। অজ্ঞাতনামা আসামিরা ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুকুর পাড়ে ফেলে যায়।
মাগুরা : মাগুরায় পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় সুজিৎ বিশ্বাস (২৫) নামের ওই যুবককে আদালতে পাঠানো হয় বলে শালিখা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানান। সুজিৎ শালিখা উপজেলার চুকিনগন গ্রামের সমেন বিশ্বাসের ছেলে।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর ইউনিয়নের নজিবপুর গ্রামের স্কুলছাত্রী (১৩) ধর্ষণ মামলার তিন নম্বর আসামি ওবায়দুলকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা সংলগ্ন লেম্বুরচর এলাকা থেকে ট্রলার যোগে পালিয়ে যাওয়ার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহিপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে মামলায় অপর আসামি রকিবুলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।