পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বিয়ে ও তালাক নিবন্ধন অফিস (কাজী অফিস) সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান। কাজী অফিস মানুষের পারিবারিক ভিত তৈরি করে। বিয়ে তালাকের নিবন্ধন বৈধ পরিবার গঠন এবং সুন্দর ও শান্তিময় সমাজ গঠনের সহায়ক। কিন্তু কাজী অফিসের আধুনিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় সাধারণ মানুষ সহজে-এর সেবা পাচ্ছে না।
ভুক্তভোগী অনেকের অভিযোগ কাজী অফিসের সেবা নিতে গিয়ে অনেকে বিড়ম্বনার স্বীকার হয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য কাবিননামা বা তালাকনামা সংগ্রহ করতে গিয়ে তারা তাৎক্ষণিক সেবা পাননি। কাবিন নামার জন্য তিন চার দিনের তল্লাশী সময় পার করে বলা হয় আমাদের পুরনো বালাম বই আগুনে পুড়ে গেছে অথবা, সাবেক কাজীর (নিকাহ রেজিস্ট্রার) নিকট রয়েছে। কিংবা এলাকা ভাগ হয়ে গিয়েছে তাই অন্য কোথাও অথবা অমুক অফিসে যান, ইত্যাদি। আবার অনেকের অভিযোগ বিয়ের সময় যে সকল তথ্য ভুক্তিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিলো পরবর্তীতে তা ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে। যেমন- দেন মোহর পাঁচলাখ টাকার স্থলে তিন লাখ কিংবা আট লাখ হয়ে গেছে, আবার উশুল হয়ে গেছে চার লাখের স্থলে দুই লাখ বা ছয়লাখ ইত্যাদি। বিজ্ঞজনদের মতে কাজী অফিসগুলো ডাটাবেজের আওতায় আনলে এসব সমস্যার সহজ সমাধান হবে। সরকারের অন্যান্য বিভাগের সেবা এক ক্লিকেই যেমন বের হয়ে যায়, তেমনি ডাটা ম্যানেজমেন্টের আওতায় আসলে কাজী অফিসের তথ্যও এক ক্লিকে বের হয়ে আসবে এবং বিয়ে তালাকের তথ্য সাবমিট দেয়ার পর তা ওলট-পালট হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
যেমন-জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, যে কোন পরীক্ষার ফলাফলের তথ্য, জমির নামজারির তথ্য, ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স ইত্যাদি মানুষ সহজেই পেয়ে যাচ্ছে। কাজী অফিসগুলো ডাটাম্যানেজমেন্টের আওতায় আনলে এ সেক্টর থেকেও অনুরুপ সেবা পাওয়া যাবে। তাছাড়া আইনগত কারণ ছাড়া গোপনে একাধিক বিয়েও বন্ধ হবে।
অতএব, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে, বর্তমান সরকারের প্রায় সকল সেক্টর ডিজিটাল সিস্টেমের আওতায় আসলে কাজী অফিস কেন এর বাহিরে থাকবে।
রিয়াদ হাসান, সাভার, ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।