পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকার রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে কারা? তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এটা ভালো কথা। এখন প্রশ্ন হলো যে, রোহিঙ্গাদের ইন্ধন দিচ্ছে স্বয়ং সরকার। যদি ইন্ধন না দেয় তাহলে তারা লাখ লাখ লোক সমবেত হয়ে সমাবেশ করে কিভাবে? তারা মিছিল করে কিভাবে? বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে পুলিশ সভা-সমাবেশ করতে অনুমতি দেন না, রোহিঙ্গাদেরকে সমাবেশ করতে দেন। এর পেছনে সরকারেরই ইন্ধন আছে অন্য কোনো কল-কাঠি নাড়ার।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ’৭১ এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটা আমাদের জন্য প্রকট সংকট, এই ইস্যুটি সমাধান করার ক্ষেত্রে সরকার যদি মনে করে তার সমস্যা তাহলে এই সরকার বোকামি করবে। এই সমস্যাটা জাতীয় সমস্যা, দেশের সমস্যা, জনগণের সমস্যা, এটা সমাধানের ক্ষেত্রে একটা কালেকটিভ লিডারশীপ দরকার। অর্থাৎ সকলে মিলে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে আমাদেরকে এই সমস্যাটা মোকাবিল করা, সমাধান করার পথ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ভিন দেশের লোক, তাদেরকে আশ্রয় দিতে হবে আবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। সেজন্য বিশ্বের যত বড় বড় শক্তিধর দেশ রয়েছে তাদেরকেও সাথে নিতে হবে এবং জাতিসংঘের মাধ্যমে সকল রাষ্ট্রকে সক্রিয় করেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান আমাদেরকে করতে হবে। সে কারণেরই আজকে বুঝতে হবে রোহিঙ্গারা যেতে চায় না কেনো? তারা (রোহিঙ্গা) গেলে সেখানে আপনি কোনো রাজনৈতিক পুঁজি ব্যবহার করতে পারবেন না-এই ভয় থেকে তাদেরকে স্থায়ীভাবে এখানে রেখে জাতীয় সংকট সৃষ্টি করতে চান-সেই ধরনের কথা আছে।
গত ২৬ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে দেয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য আমি ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়নি। কাদের সিদ্দিকীর বক্তব্যের জবাবে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনার প্রতি সন্মান রেখে বলতে চাই, তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য আপনি ফ্রন্টে আসেন নাই। এটা আমরা জানি। আপনি আপনার রাজনৈতিক স্বার্থের বিবেচনায় এসেছিলেন। স্বার্থ বিবেচিত হয়নি, আপনি সেখান থেকে ব্যাক করবেন বা ফেরত যাবেন-এটা অস্বাভাবিক কিছু না। এটা বুঝবার মতো সক্ষমতা আপামর জনগণের আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, তারেক রহমানকে আপনি (কাদের সিদ্দিকী) নেতা বানাবেন কেনো? আপনার ঐক্যফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দেড় যুগ আগেই তারেক রহমান তো বাংলাদেশের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত বলেই তো পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে আলোচনা হয়, তার পক্ষে যেমন কথা হয়, তার বিপক্ষেও কথা হয়। রাজনৈতিক নেতৃত্ব মানেই তো তার পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনায় যিনি থাকেন তিনিই তো নেতা।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের প্রতি দলের নেতাকর্মীদের যে আস্থা এই আস্থা কেবল আবেগ নির্ভর নয়, এই আস্থা বাস্তবতা নির্ভর। আর বাস্তবতা নির্ভর বলেই ভিন দেশে, দূর দেশে বসেও এতো বড় একটি দলকে তিনি নেতৃত্ব দিতে পারছেন এবং সরকারের নিজের ইশারা কেউই তার নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে নাই। বরং তার সান্নিধ্যে লাভের জন্য সবাই অপেক্ষা করছেন মাত্র। সুতরাং তারেক রহমানকে নেতা আপনাকে (কাদের সিদ্দিকী) বানাতে হবে না। নেতা তৈরি হয় জনগণের ইচ্ছার ওপর, জনগণ যার ওপর আস্থা পায় তিনিই নেতা হন।
সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়ার পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির আবদুস সালাম আজাদ, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের ভিপি খলিলুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের রফিক উল্লাহ ভূঁইয়া প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।