Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রত্যাবাসন বিরোধী কাজে জড়িত থাকালে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা

বিশেষ নজরদারীতে আনা হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:১৭ পিএম

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে আর লাগামহীন কোন কর্মকান্ড কাউকে করতে দেয়া হবেনা। ক্যাম্পে কর্মরত কোন এনজিও বা আইএনজিও রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবাসন বিরোধী কোন কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদেরকে কঠোর আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক সম্বনয় সভায় জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন আরো বলেন,গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত অনুমোদনহীন রোহিঙ্গা সমাবেশের বিষয়ে বহুমুখী তদন্ত চলছে বলে জানিয়ে। এরমধ্যে যদি কোন এনজিও অথবা আইএনজিও রোহিঙ্গা শরনার্থী প্রত্যাবাসন বিরোধী কাজে পরোক্ষভাবেও জড়িত ছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য গোয়েন্দা নজরদারিও অনেক বাড়ানো হয়েছে। এ তদন্তে সাম্প্রতিক সময়ে কার কি ধরনের নেতিবাচক ভূমিকা ছিলো তা পূঙ্খানুপুঙ্খরূপে উঠে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে মাসিক এনজিও সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সভাপতির বক্তব্যে অনেকটা হুশিয়ারি দিয়ে এসব কতা বলেন। এসময় রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত প্রায় সকল এনজিও’র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ সমন্বয় সভাটি মূলতঃ গত ২৫ আগস্ট অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশ ও গত ২২ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় ব্যর্থ প্রত্যাবাসন নিয়েই আলোচনা সীমাবদ্ধ ছিলো। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন-ক্যাম্পে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ডিউটি শেষে বিকেলে কক্সবাজার চলে আসে। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা হতে পরদিন সকাল ৮/৯ টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থাকেননা। তাই এ সময়ে রোহিঙ্গা শরনার্থীরা অপরাধ কর্মে জড়িত হয়ে পড়ে। তখন স্থানীয় জনগোষ্ঠী হুমকির মুখে পড়ে। এজন্য রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাত্রে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া ক্যাম্প গুলোতে প্রয়োজনীয় সরকারি লোকবল বৃদ্ধি করা হবে। জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সভায় আরো বলেন, গত ২৫ আগস্টের সমাবেশে কত হাজার রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটেছে সেটা সুনির্দিষ্টভাবে নাজানলেও এ সমাবেশে ৬৫ হাজার টি শার্ট সরবরাহ করা হয়েছে মর্মে নিশ্চিত হওয়াগেছে। এছাড়া একইদিন সমাবেশে ইংরেজি লেখা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, প্লেকার্ড, হ্যান্ড মাইক, লুঙ্গি ইত্যাদি কোত্থেকে, কিভাবে এসেছে তাও তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সতর্কতার সাথে সরকারি সকল নির্দেশনা পালনের জন্য এনজিও প্রতিনিধিদের প্রতি আহবান জানান। সভায় এডিসি (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার, এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আল আমিন পারভেজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ