নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ আর শ্রীলঙ্কা সফরে খেলা হয়েছে রঙিন পোষাকে। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চের সেই ভয়াল নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দীর্ঘ প্রায় ৫ মাস পর সাদা পোষাকে ফিরছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। প্রতিপক্ষও আনকোড়া- আফগানিস্তান। টেস্ট ইতিহাসেই যারা খেলেছে মাত্র দুটি ম্যাচ। তিন নম্বরটি খেলতে বাংলাদেশে আসছে আগামীকাল। ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিরিজের একমাত্র টেস্ট। এই ম্যাচ নিয়ে তাই উৎসাহের কমতি নেই বিসিবির। টেস্ট পরিবারের নতুন এই সদস্যদের অভিজ্ঞতা দিয়েই বরণ করে নিতে চায় বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি থাকলেও আজই এই ম্যাচের দল ঘোষনা করবে বলে জানা গেছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে দল কেমন হবে, তা নিয়ে কয়েক দফা কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সভা হয়েছে। গতকাল বিকেলে শেষবারের মতো বসেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আজই সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা। সেই মিটিং শেষে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু নিশ্চিত করেছেন আজই হচ্ছে দল ঘোষনা, ‘আমরা আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেরা একটি দল ঘোষনার চেষ্টা করছি। আগামীকাল (আজ) মাঠেই দল ঘোষণা করব।’ তবে দলের তালিকা নিয়ে পরিস্কার করে কিছু জানাতে চান নি প্রধান নির্বাচক, ‘দল নিয়ে এই মুহূর্তে আপনাদের বলতে পারব না। শুক্রবার টেস্টের দল দিয়ে দেবো। আর ৬ সেপ্টেম্বর আশা করি টি-টোয়েন্টি দলও ঘোষনা করতে পারব।’
তামিম ইকবাল বিশ্রামে থাকায় ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলামের সঙ্গী কে হবেন, সেটাই এখন আলোচনায়। তরুণ এই ওপেনারের সঙ্গে আরেক তরুণ ক্রিকেটার নাজমুল হোসেন শান্তকে সুযোগ দেওয়া হবে নাকি সাদমানকে বসিয়ে অভিজ্ঞ কাউকে সুযোগ দেওয়া হবে- সব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে আজই। শান্তর সম্ভাবনা নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘এইচপিতে কয়েকজন খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছে। শান্তও বেশ ভালো খেলেছে। এটা আমাদের মাথায় আছে। এটা নিয়ে আমরা বসছি। আগামীকালই (আজই) সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’
দু’দিন আগেই (বুধবার) মিরপুরে শেষ হয়েছে দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। আগামী দুই দিনে ম্যাচের আদলে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে একটি ছায়া ম্যাচের আয়োজন করছে বিসিবি। টেস্টের আগে সফরকারী আফগানরা দুই দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। ওই ম্যাচে বিসিবি একাদশের হয়ে প্রথম শ্রেণিতে খেলা কিছু ক্রিকেটার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন নান্নু, ‘অনেক ক্রিকেটার নিয়ে দল গঠন করা হয়েছে। অনেকদিন বাংলাদেশ টেস্ট খেলে না। এই কারণে দুটি ম্যাচই লাল বলে অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি এর ফলে ভালো প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামতে পারবে বাংলাদেশ।’
পুরো দলে শূন্যতা বা খালি জায়গা বলতে ছিলই মোটে একটি। সেটা হলো ওপেনিং ব্যাটসম্যানের কোটায়। নিজ থেকে বিশ্রামে থাকা তামিমের বদলি কে? টেস্টে তার সা¤প্রতিক পার্টনার সাদমান ইসলামকে নিশ্চিত ধরলে আরও একজন সঙ্গী দরকার। সেই সঙ্গীর সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে তিন জনের মধ্যে ছিলেন এক নতুন মুখ সাইফ হাসান। তার দিকেও চোখ ছিল নির্বাচকদের। তবে শেষ খবর, সাইফকে সম্ভবত বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। সাদমানের সাথে পুরনো মুখকেই বেছে নিতে আগ্রহী টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা। সাইফের সাথে দুই সাবেক টেস্ট ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি, ইমরুল কায়েসও ছিলেন সম্ভাব্য প্রার্থী। যতদুর জানা গেছে হয় তাদের একজনকে, না হয় এর বাইরে কাউকে সাদমানের সাথে সম্ভাব্য ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে বেছে নেয়ার চিন্তা চলছে। হয় ইমরুল-জহুরুল অমির কেউ ১৫ জনের দলে ঢুকবেন। না হয় সৌম্য সরকারকে দিয়েই ওপেন করানো হবে।
এরপর আসছে ব্যাটসম্যান প্রসঙ্গ। বিশ্বকাপে ফর্ম ভাল ছিল না। শ্রীলঙ্কায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মোটেই ভাল খেলেননি। তারপরও হয়ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ঠিকই দলে থেকে যাবেন। তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে বিবেচনায় এনে রিয়াদকে দলে রাখার চিন্তা ভাবনা চলছে। রিয়াদ থাকলে দলের গঠন শৈলি বা টিম কম্বিনেশন হতে পারে এ রকম- তিন পেসার (মুস্তাফিজুর রহমান, খালেদ আহমেদ, শফিউল ইসলাম কিংবা আবু জায়েদ রাহী), চার স্পিনার (সাকিব, তাইজুল, মিরাজ ও নাঈম হাসান), আর আটজন ব্যাটসম্যান।
এখন একটি কথা আছে। আঙ্গুলের ইনজুরি শতভাগ ঠিক না হলে
হয়ত মিরাজকে নাও বিবেচনায় আনা হতে পারে। মিরাজ যদি ইনজুরিমুক্ত হয়ে দলে থাকতে না পারেন, তাহলে ব্যাকআপ অফস্পিনার হিসেবে অবধারিত হবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা। কারণ, মিরাজ না থাকলে দুই বাঁ-হাতি সাকিব-তাইজুলের সাথে অফ স্পিনার নাঈম স্পিন আক্রমণ সামলাবেন। সাথে সহায়ক শক্তি হিসেবে মোসাদ্দেককেও রাখা হতে পারে। কারণ তিনি অফ স্পিনটা ভালই পারেন। ঠেকা কাজ চালানো যাকে বলে। যদি তাই হয়, তবে আফগানিস্তানের মতোই তিন বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় টেস্ট খেলতে নামবেন এই অফস্পিন অলরাউন্ডার। শেষ ম্যাচটি এই চট্টগ্রামেই খেলেছিলেন গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
যতদুর জানা গেছে, পেস ডিপার্টমেন্টে সাকুল্যে তিনজনকে রাখা হবে। সেখানে বাঁ-হাতি মুস্তাফিজুর রহমানের থাকা শতভাগ নিশ্চিত। পাশাপাশি উঠে আসছে আরও কটি নাম; খালেদ, তাসকিন, শফিউল আর আবু জায়েদ রাহী। এদের যে কোনো দু’জনকে হয়ত বেছে নেয়া হবে। তবে যেহেতু খালেদ দেশের মাটিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন, তাই তার দলে থাকার সম্ভাবনা বেশি। বাকি একজন কে হবেন, শফিউল, তাসকিন নাকি রাহী? সেটাই দেখার বিষয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।