পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সহযোগিতার ব্যাপারে নিজ নিজ দেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সফররত চীনের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) ভাইস চেয়ারম্যান জেনারেল শু কিলিয়াং।
বৃহস্পতিবার শুর নেতৃত্বে চীনা প্রতিনিধি দল ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে বলা হয়, এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়ন ও কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষার জন্য পাকিস্তান ও চীন ঘনিষ্ঠ আলোচনা ও সমন্বয় অব্যাহত রাখবে।
পাকিস্তান ও চীনের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়ে পাকিস্তান সফর করছেন জেনারেল শু। ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল এবং অঞ্চলটিকে জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ অঞ্চলে ভাগ করা নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান তীব্র উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
চীন ভারতীয় কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে এবং কাশ্মীর প্রশ্নে ১৬ আগস্ট জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকার জন্য পাকিস্তানের অনুরোধকে সমর্থন জানায়। নিরাপত্তা পরিষদে ভারতীয় কাজের ব্যাপারে পাকিস্তানের মনোভাবকে সমর্থন প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী খান চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অনন্য মানের পাকিস্তান-চীন সর্ব মওসুমের কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারিত্ব এই অঞ্চল এবং এর বাইরের অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি নোঙ্গরের মতো।
প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে ভারতের কর্মকাণ্ড শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকি। ভারত তার অপরাধ থেকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি সরিয়ে নিতে ‘ফলস ফ্লাগ অপারেশন’ চালাতে পারে বলে তিনি আবারো সতর্ক করে দেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, কাশ্মীরীদের উপর বর্বর নির্যাতন চরমপন্থীদের জোয়ার সৃষ্টি করতে পারে যা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
চীনা জেনারেল দুই দেশের কোর জাতীয় স্বার্থগুলোতে পরস্পরকে সমর্থন দানের ঐতিহ্যের প্রতি চীনা নেতৃবৃন্দের প্রতিশ্রুতির কথা পুনরায় উল্লেখ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিরাজমান বিরোধগুলো নিরসন হওয়া উচিত।
চীনা জেনারেলের সঙ্গে সাক্ষাতকালে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেন যে পাকিস্তান তার সঙ্গে চীনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং তার জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুগুলোতে সমর্থন দানকে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে।
শুর সফরকালে পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সামর্থ বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি এমওইউ সই হয়।
নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থনের জন্য প্রেসিডেন্ট আলভি চীনকে ধন্যবাদ জানান। অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতি চীনের অব্যাহত সমর্থনের নিশ্চয়তা দেন জেনারেল শু। সূত্র : এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।