নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বলটা মাথার ঠিক পেছনের অংশটায় (ঘাড়ে) লেগেছিল, যেখানে লেগে মৃত্যু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ওপেনার ফিলিপ হিউজের। স্টিভেন স্মিথও ঠিক এমন পরিস্থিতিতে পড়ে প্রথমেই মনে করেছিলেন সেই হিউজের কথা। মৃত্যুকে যেন কাছ থেকে দেখছিলেন তিনি।
লর্ডসে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের ঘটনা। ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চারের বিষাক্ত এক বাউন্সার ঠিক গিয়ে আঘাত করে স্মিথের ঘাড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক, ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। এই ঘটনায় মাঠও ছাড়তে হয় স্মিথকে। পরে অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন, কিন্তু কনকাশনের (মাথা ঘুরা, তন্দ্রালুভাব) লক্ষণগুলো থাকায় তাকে নিয়ে আর ঝুঁকি নেয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টে বিশ্রামে রাখা হয় দেশসেরা এই ব্যাটসম্যানকে।
২০১৪ সালে শেফিল্ড শিল্ডের এক ম্যাচে ঘাড়ে বল লেগে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল হিউজের। ওই ম্যাচে অবশ্য খেলেননি স্মিথ। কিন্তু নিজের দেশের একজন ক্রিকেটারের এমন মৃত্যু, খোঁজখবর তো সবই পেয়েছেন। মনের মধ্যেও গেঁথে আছে সেই স্মৃতি। নিজের মাথায় বল লাগার পর প্রথমে সেই হিউজের কথাই মাথায় এসেছিল সাবেক অজি দলপতির। ওই সময়টার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে স্মিথ বলেন, ‘আমার মাথায় কয়েকটি জিনিস ঘুরছিল। বিশেষ করে যে জায়গাটায় আঘাত পেয়েছি, অতীতের কিছু ফিরে এসেছিল। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাচ্ছি, ঠিক কয়েক বছর আগের ঘটনার কথা। সম্ভবত আমার মাথায় আসা প্রথম বিষয় ছিল সেটাই।’ স্মিথ যোগ করেন, ‘পরে অবশ্য আমার মনে হচ্ছিল, ঠিক আছি। কোনো সমস্যা নেই। আমি কিছুটা কষ্ট পেয়েছিলাম, তবে ওই দিন পুরো বিকেলে মানসিকভাবে ঠিকই ছিলাম।’
শরীরটা ভালো বোধ করায় পরে ব্যাটিংয়েও নেমেছিলেন স্মিথ। কিন্তু টেস্টের শেষ দিনে এসে আবারও কনকাশনের লক্ষণগুলো দেখা দেয়। সেই সময়টার অনুভূতি বোঝাতে গিয়ে স্মিথ জানান, তার নিজেকে মাতালের মতো লাগছিল, ‘যখন ডাক্তার আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেমন অনুভূতি হচ্ছে? আমি বলেছিলাম, মনে হচ্ছে যেন গত রাতে ছয়টা বিয়ার খেয়েছি। সেটা না খেয়েও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার এমন মনে হচ্ছিল।’
কনকাশনের সমস্যায় হেডিংলিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টটি খেলতে পারেননি স্মিথ। বেন স্টোকসের অতিমানবীয় এক ইনিংসে ওই টেস্টটি জিতে সিরিজে সমতায় ফিরেছে ইংল্যান্ড। ৫ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন স্মিথ। তিনি ফেরায় অস্ট্রেলিয়া শিবিরে স্বস্তি ফিরেছে নিঃসন্দেহে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর ম্যানচেস্টারে হবে অ্যাশেজে ফের এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। তবে তার আগে তিন দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন নিজেকে ঝালিয়ে নিতে। যে দলে ডাক পেয়েছেন উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। লিডস ও ম্যানচেস্টারের দুই টেস্টের আগে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে অধিনায়ক টিম পেইনকে। তার সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচটিতে খেলছেন না ডেভিড ওয়ার্নার, নাথান লায়ন, ট্রেভিস হেড, জেমস প্যাটিনসন, জশ হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স। প্রস্তুতি ম্যাচটি হতে পারে মিচেল স্টার্ক ও পিটার সিডলের জন্য বড় সুযোগ। ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে ডাক পেতে নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছেন তারা। একই সঙ্গে ব্যাটিংয়ে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন খাজা, মার্কাস হ্যারিস, ম্যাথু ওয়েড, মার্নাস ল্যাবুশ্যাগনে ও ক্যামেরুন ব্যানক্রফট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।