Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কাশ্মীরের স্বাধীনতা হরণ ভারতের বর্বরতার দৃষ্টান্ত

মোহাম্মদ আবদুল গফুর | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

উপমহাদেশের এক প্রান্তে রোহিঙ্গা, আরেক প্রান্থে কাশমীর। উভয় ক্ষেত্রেই জুলুম-নির্যাতনের শিকার মুসলিম জনগোষ্ঠি। মাসের পর মাস বছরের পর বছর চলে আসছে এ অন্যায় নির্যাতন। প্রতিকারের কোন পথ দেখা যাচ্ছে না অদূর ভবিষ্যতে, যদিও মাঝে মাঝে কোন কোন দেশ সাময়িকভাবে সহানুভূতি প্রকাশ করছে নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য। কিন্তু কেউ এ বিষয়ে একটানা জোরালো ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে আসছে না নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে। ফলে কাশ্মীরী মুসলমানদের দুরবস্থা যে তিমিরে সে তিমিরেই থেকে যাচ্ছে অনির্দিষ্টকালের জন্য।

এর মধ্যে বাংলাদেশের কিছু সংখ্যক নেতা এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে যা বলেছেন, তা যেমন দুর্ভাগ্যজনক, তেমনি এ বিষয়ে তাদের অজ্ঞতার পরিচায়কও বটে। তারা বলেছেন, কাশ্মীর সমস্যা নাকি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের নাক না গলানোই ভাল। এতে কাশ্মীরের ইতিহাস এবং সমস্যার বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে তাদের চরম অজ্ঞতারই পরিচয় মেলে। তাই এ সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট করতে কাশ্মীর সমস্যার ইতিহাস সংক্ষেপে হলেও তুলে ধরা জরুরী বলে মনে করি।

১৯৪৭ সালে যে আইনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় উপমহাদেশের পৌনে দু’শ বছরের ইংরেজ শাসনের অবসান হয়, সেই ইন্ডিয়ান উন্ডেপেন্ডেস অ্যাকটে এ উপমহাদেশের তৎকালীন বিভিন্ন দেশীয় রাজ্য প্রিন্সলি সম্বন্ধে যে বিধান দেয়া হয়, তাহলো এসব রাজ্য তাদের ইচ্ছা মাফিক ভারত বা পাকিস্তান যে কোন রাষ্ট্রে যোগ দিতে পারবে অথবা স্বাধীন থাকতে পারবে। সেই বিধান মোতাবেক তৎকালীন অন্যতম দেশীয় রাজ্য হায়দরাবাদ, জুনাগড়, মানভাদার প্রভৃতি মুসলিম শাসিত রাজ্য স্বাধীন থাকার ঘোষণা দেয়। কিন্তু এসব রাজ্যের জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ অমুসলমান, এই যুক্তি দেখিয়ে ভারত সৈন্য পাঠিয়ে এসব রাজ্য দখল করে ভারতের অন্তরর্ভূক্ত করে নেয়।

এদিকে কাশ্মীর রাজ্যের হিন্দু মহারাজা হরিসিং কাশ্মীরের ভারতে যোগদানের ঘোষণা দেন। কাশ্মীরে তখন জাতীয় কনফারেন্স নামে একটি রাজনৈতিক দল ছিল যার নেতা ছিলেন শেখ আবদুল্লাহ। এই শেখ আবদুল্লাহর সঙ্গে ভারতের প্রথম প্রধান মন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক থাকায় মুসলিম প্রধান কাশ্মীরের ভারতে যোগদান বিষয়ে কোন আপক্তি করেননি তিনি (শেখ আবদুল্লাহ)। কিন্তু এটা মেনে নিতে পারেনি মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী জনগণ। তারা এ অবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু করে দেন এবং কাশ্মীরের একাংশ স্বাধীন করে নেন, যা এখন আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত।

এদিকে কাশ্মীরের জনপ্রিয় নেতা শেখ আবদুল্লাহ মনে প্রাণে ছিলেন কাশ্মীরের স্বাধীনতার সমর্থক। তাঁর প্রত্যাশা ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কাশ্মীরী জনগণের স্বাধীনতার আকাংখাকে নিশ্চয়ই মূল্য দেবে। তাঁর এ অবাস্তব প্রত্যাশা কোনদিনই পূরণ হয়নি। এর পরিবর্তে স্বাধীনতা উত্তর ভারতে যখন কাশ্মীরী নেতা শেখ আবদুল্লাহ কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবী তোলেন, তাকে কাশ্মীরের বিশেষ স্বাধীনসত্ত্বার প্রতীক হিসাবে তাকে কাশ্মীরের প্রাইম মিনিস্টার বা প্রধান মন্ত্রী উপাধি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে উপদেশ দেন।

কিন্তু শেখ আবদুল্লাহ এ ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধান মন্ত্রী, শেখ আবদুল্লাহর ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বন্ধু পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর এ প্রধান মন্ত্রীত্বের আমলেই কাশ্মীরের স্বাধীনতা দাবী করার অপরাধে শেখ আবদুল্লাহকে ভারতে কারাভোগ করতে হয়। এ সময় আমরা উপমহাদেশের রাজনীতি ক্ষেত্রের দুই ‘শেখ’ উপাধিধারী নেতা শেখ আবদুল্লাহ এবং শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে লিখে ছিলাম, কাশ্মীরের শেখ যে ভুল করেন, বাংলার শেখ (শেখ মুজিব) সে ভুল করেননি।

আমাদের সেদিনের এই বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি ছিল এই যে, শেখ মুজিব (পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু) এবং শেখ আবদুল্লাহ উভয়ই ছিলেন নিজ নিজ মাতৃভূমির স্বাধীনতার সমর্থক। কিন্তু তাদের দুজনের অনুসৃত পথ ছিল পৃথক। একজনের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা অনুসারে ভারত বিভাগ ও পাকিস্তান আন্দোলনে যোগ দিয়ে উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকা সমূহে প্রথমে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা এবং পরবর্তীকালে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের (১৯৪০) মর্মানুসারে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন।

অন্যজন (শেখ আবদুল্লাহ) মনে প্রাণে কাশ্মীরের স্বাধীনতার সমর্থক হলেও অখন্ড ভারতের সমর্থক কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে নিজেকে সংযুক্ত করার কারণে কাশ্মীরের ভারত ভুক্তিতে নিজের অজান্তিতেই সমর্থন দিয়ে বসেন। এ বিষয়ে তার প্রাপ্তি ছিল একটি সান্তনা মাত্র যে, কাশ্মীর ভারতের অন্তর্ভূক্ত হলেও রাজ্য হিসাবে কাশ্মীরকে একটি বিশেষ মর্যাদা দেয়া হবে এবং তাঁকে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের প্রধানদের মত মুখ্যমন্ত্রী (চীফ মিনিস্টার) না বলে প্রধান মন্ত্রী (প্রাইম মিনিস্টার) বলা হবে।

এটা যে কত ঠুনকো মর্যাদা তা পরবর্তীকালে অতি নির্মমভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তখন কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী নেতাদের আর কিছু করার ছিল না। যে ভারত একদা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করে এখন পৌনে দু’শ বছরের বৃটিশ রাজত্বের অবসান ঘটায়, সে ভারতের নেতৃত্বে এসেছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি। বিজেপি প্রথম বার ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিজেপি নেতাকর্মীদের অন্যতম শ্লোগান ছিল ভারতে মুসলমানদের নিশ্চিৎ করে ফেলতে হলে পুনরায় বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

বিজেপি ভারতে কতটা বর্বর শাসন চালায়, তার নমুনা হিসাবে একটা দৃষ্টান্ত দিলেই চলবে। ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে ভারতের বৃটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দান করে যে রাজনৈতিক সংগঠন, নেই ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতাকে পর্যন্ত কাশ্মীরে প্রবেশ করতে দেয়নি ভারতের বিজেপি সরকার প্রেরিত সেনাবাহিনী। তাঁকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকেই ফিরে আসতে হয়েছে।

ভারতের একমাত্র মুসলিম-অধ্যুষিত রাজ্য কাশ্মীরে এখন চলছে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বর্বর নির্যাতন। তাদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। যখন যেমন ইচ্ছা, তখন তেমন নির্যাতন চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণের দু:খজনক এ অবস্থার কাশ্মীরের জন্য বর্তমান ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মূলত দায়ী বলে মনে হলেও এ ব্যাপারে সাবেক কাশ্মীরী নেতা শেরে কাশ্মীর (কাশ্মীর শার্দুুল) বলে অভিহিত তৎকালীন কংগ্রেস-ভক্ত জাতীয় কনফারেন্স নেতা শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর বিভ্রান্তিও কম দায়ী নয়। কারণ তিনি নিজে কাশ্মীরের স্বাধীনতার সমর্থক হলেও মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরের ভারত-ভুক্তিকে মেনে নিয়েছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধান মন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর অন্তরঙ্গ সম্পর্কের প্রভাবের কারণে। এতে প্রমাণিত হয় তিনি ভারতের একটি শাসক-পরিবারের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রভাবের ঊর্ধ্বে উঠতে সক্ষম হননি।

একারণেই আমরা একদা এসম্পর্কে লিখেছিলাম যে, কাশ্মীরের শেখ (শেখ আবদুল্লাহ) যে ভুল করেন, বাংলার শেখ (শেখ মুজিব) সে ভুল করেননি। ফলে বাংলার স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের স্বপ্ন স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে গৌরবজনক সাফল্য অর্জন করলেও কাশ্মীরের শেখ (শেখ আবদুল্লাহ) কাশ্মীরের স্বাধীনতা দাবী করার অপরাধে তাঁর ব্যক্তিগত বন্ধু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর শাসনামলেই কারাভোগ করতে বাধ্য হন।

সেই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জের ধরে ভারতের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী কট্টর হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক নেতা নরেন্দ্র মোদী সুযোগ পেয়েছেন কাশ্মীরের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে চরম বর্বর নির্যাতনের শিকার করতে। সুতরাং এ নির্মম সত্য অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ভারতের একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্য অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের কাশ্মীরের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার মুসলিম জনগোষ্ঠীর উপর যে বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে, তার মূল দায় থেকে কাশ্মীরের সাবেক নেতা শেরে কাশ্মীর পদবিধারী শেখ আবদুল্লাহ কোনক্রমেই রেহাই পেতে পারেন না। কারণ তিনি সারাজীবন কাশ্মীরের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, অথচ বাস্তবে অনুসরণ করেছেন তার বিপরীত পথ। কংগ্রেস চিরকাল ছিল একটি হিন্দু-অধ্যুষিত রাজনৈতিক সংগঠন, যদিও তার মধ্যে বেশ কিছু মুসলমান নেতা কর্মী সব সময় ছিল। কিন্তু যে কংগ্রেস একদা বৃটিশ-বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দান করে পৌনে দু’শ বছরের বৃটিশ শাসনের অবসান ঘটায়, সে কংগ্রেস এখন আর ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় নেই। এখন ভারতের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি।

এই কট্টর হিন্দুত্ববাদী দল অতীতে গুজরাটে মুসলিম গণ-হত্যায় নেতৃত্বদান করায় এদের নেতা নরেন্দ্র মোদী ‘গুজরাটের কশাই’ নামে কুখ্যাত হয়েছিলেন, সেই নরেন্দ্র মোদী এখন ভারতের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধান মন্ত্রী। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাঁর দলের নেতাকর্মীরা এই বলে তাঁর স্বপক্ষে জনগণের সমর্থন কামনা করেন যে ভারতের মুসলমানদের ধ্বংস করতে নরেন্দ্র মোদীকে পুনরায় নির্বাচিত করুন। সেই কট্টর সম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী নেতা নরেন্দ্র মোদী এখন দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। সুতরাং তিনি এই ভারতের একমাত্র মুসলিম প্রধান রাজ্য কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর চরম বর্বর নির্যাতন চালাবেন, তাতে আর আশ্চর্য কি!

তবে এক্ষেত্রে বাস্তবতার নিরিখে একটা নির্মম সত্য উচ্চারণ না করে গত্যন্তর নেই। কাশ্মীরবাসী মুসলমানদের এ চরম দুর্দশার জন্য কাশ্মীরের এককালের নেতা নেহরু পরিবারের সাথে যার ছিল মাত্রাতিরিক্ত মাখামাখি কাশ্মীরের বর্তমান দুর্দশার জন্য সেই শেখ আবদুল্লাহরও দায় মোটেই কম নয়। এ জন্যই বলা যায় কাশ্মীরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ব্যর্থ হওয়ার জন্য কাশ্মীরের সেখ (শেখ আবদুল্লাহ) যে ভুল করেছেন, বাংলার স্বাধীনতার স্বাপ্নিক বাংলার শেখ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) সে ভুল করেননি। সুতরাং আওয়ামী লীগের কোন নেতা যখন বলেন, কাশ্মীর সমস্যা ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়, এ বক্তব্য বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বাপ্নিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারার বিরোধী হিসাবে অগ্রহণযোগ্য। তিনি ১৯৭১ সালে সমগ্র মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি পাকিস্তানের জেলে অবস্থান করার পর প্রথম লন্ডনে যান এবং দিল্লী হয়ে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনকালে প্রথম সুযোগেই ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সরাসরি প্রশ্ন করে বসেন, ম্যাডাম, আপনি বাংলাদেশ থেকে আপনার বাহিনী কখন ফিরিয়ে আনবেন?

ইন্দিরা গান্ধী জবাবে বলেন আপনি যখন বলবেন, তখনই। শুধু তাই নয় ১৯৭২ সালে লাহোরে যেদিন ইসলামিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, ভারতের বিরোধিতা অগ্রায্য করে সে সম্মেলনে যোগ দেন। এনিরিখে বলা যায়, মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীরে ভারতীয় শাসন চলবে, এ অবস্থা তিনি কোন দিনই মানতেন না। সুতরাং মুসলিম-অধ্যুষিত কাশ্মীর ভারতীয় শাসনকে ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মেনে নেয়া বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের পক্ষে সম্ভব নয়।



 

Show all comments
  • Nazera Zahir Chowdhury ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৩ এএম says : 0
    uncevelized India
    Total Reply(0) Reply
  • Onik Khan ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৪ এএম says : 0
    ইনশাআল্লাহ মুসলিমের চূড়ান্ত বিজয় হবে শুধু সময়ের অপেক্ষায়।আমরা মুসলমান আমরা কখনো ভয় করিনা মৃত্যু কখন আসবে কিভাবে আসবে সম্পূর্ণটা উপরওয়ালা তিনি জানেন। তাই কাউকে মুসলমান ভয় পায় না, কাউকে ভয় দেখায় না, কেউ ভয় দেখালে তা এড়িয়ে যায় না।
    Total Reply(0) Reply
  • Najmul Hasan Naju ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৫ এএম says : 0
    বিশ্বের সমস্ত মুসলিম কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আপনি হেফাজত করুন। বিশ্বের সমস্ত অমুসলিম এক! কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বিশ্বের সমস্ত মুসলিম এক নয়! তার জ্বলন্ত প্রমাণ হচ্ছে কাতার।
    Total Reply(0) Reply
  • Nil Akash ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৫ এএম says : 0
    যা দেখানো হচ্ছে তার থেকে অনেক বেশি ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে বর্তমানে, আপনারা যারা আসল ঘটনা জানতে চান তারা দয়া করে আল জাজিরা এবং পাকিস্তান ভিত্তিক চ্যানেল আছে, যেগুলো পরিপূর্ণভাবে ভিডিও ধারণ করে সম্প্রচার করে থাকেন। আমি সহ সমস্ত মুসলমানদেরকে আহবান করব এই ধরনের অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবং আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।পৃথিবীর সকল মুসলমানদের কে আল্লাহ হেফাজত করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Foysal Ahmed ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৫ এএম says : 0
    কাঁদো আর কাঁদো, তোমারদের কান্নায় গাছের পাতা ঝড়ে পড়লেও, ঘুম ভাঙ্গবেনা কাপুরষ , ভীরু মুসলিম শাসকদের।
    Total Reply(0) Reply
  • Jakir Al Faruki ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৬ এএম says : 0
    যে সকল কারণে ভারতের জনগণ এবং রাজনীতিবিদগন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সমর্থন করেছিল সেইসব কারণে কাশমিরের স্বাধীনতা সমর্থন করা উচিত। কাশমিরে মানবতা বিপর্যস্ত।
    Total Reply(0) Reply
  • Nasimahmed Ahmed ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৬ এএম says : 0
    অন্ধকার ভারতের ভবিষ্যত।টুকরা টুকরা হয়ে যেতে পারে এবং এক সময় দেখা যাবে সোমালিয়ায় পরিনত হয়েছে মহা ভারত যা কখনো সুদ্ধ ছিলনা আজ তার প্রমান বিজেপি তুলে ধরেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamal Ahmed ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৪:৫৬ এএম says : 0
    জোর করে কারো উপর কোনো কিছু চাপিয়ে দেওয়া য়ায না।স্বাধীনতা ব্যক্তির জন্য রাষ্ট্রের জন্য নয়। ভারত সরকারের উচিৎ সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • Suruj ali ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৪২ এএম says : 0
    ধন্যবাদ আপনাদেরকে এরকম নিউজ প্রত্যেকদিন চাই
    Total Reply(0) Reply
  • বিদ্যুৎ মিয়া ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ১০:১৬ এএম says : 0
    লেখক মোহাম্মদ আবদুল গফুর স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ আককাছ আলী মোল্লা ২৯ আগস্ট, ২০১৯, ১০:৫৪ এএম says : 0
    সকল মুসলমানদের এক হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।তা নাহলে মার খাইতে হবে।আরব রাষ্ট্র গুলো পূরুষকৃত করছে কাফেরদেরকে।সেখানে মাইর খাওয়া ছাড়া আর উপায় কি?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন