Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিটিভির অনুষ্ঠান

| প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত বিটিভির কতিপয় বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সদয় বিবেচনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানাচ্ছি- ১. বিটিভির ধারণকৃত অথবা লাইভ একই অনুষ্ঠান কয়েক দিন পরপর দেখানো হয়। বিশেষত সুপ্রভাত, ভৈরবী, ছায়াছন্দসহ কিছু গান, নাটক, কৃষি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান। একটি বিজ্ঞাপন একাধারে তিন-চারবার থেকে ছয়-সাতবার পর্যন্ত দেখানো হয়; ২. প্রায়ই কিছু ছায়াছবি ও ‹ছায়াছন্দ›, ‹রূপালী তারার গান› নামে ছায়াছবির গানের অনুষ্ঠান দেখানো হয়, যা মানসম্পন্ন নয়; ৩. প্রতিদিনের জাতীয় খবর এতটা সরকারমুখী হওয়া এবং একই খবর কয়েক দিন যাবৎ দেখিয়ে যাওয়া সঙ্গত নয়। দর্শক দৈনিককার খবর ও বিরোধী দলের অবস্থা, কার্যক্রমসহ অন্যান্য খবর, ছবি দেখতে ও জানতে চায়; ৪. দৈনিক জ্ঞানী-গুণীজন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা, বিদেশি কূটনীতিবিদসহ আকর্ষণীয় বিষয়ভিত্তিক টক শো, সাক্ষাৎকার, আন্তর্জাতিক ও দেশের খেলাধুলা দেখানো দরকার; ৫. ডিশ সংযোগের নামে মধ্যস্বত্বভোগী বিশাল একটি গোষ্ঠী বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সংযোগ দেওয়ার নামে প্রথমে এক হাজার-দু›হাজার, এর পর মাসে তিনশ› থেকে পাঁচশ› টাকা। বিটিভি ছাড়া আর কোনো চ্যানেল টিভি অ্যানটেনার মাধ্যমে দেখা যাবে না, এটা ঠিক না। এর কারিগরি দিক ঠিক করে সরকার বার্ষিক টিভি লাইসেন্স নবায়নের সময় একটা নির্দিষ্ট অর্থ সংগ্রহ করে ও চ্যানেল মালিকদের থেকে টাকা নিয়ে ব্যবস্থা করতে পারে, যাতে ঘরে ঘরে স্বাভাবিক টিভি অ্যানটেনার মাধ্যমে বিটিভির পাশাপাশি অন্যান্য চ্যানেলও দেখা যায়। এতে জনগণও ডিশ সংযোগের হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়।
মো. হাবিবুল ইসলাম, পশ্চিম খুলশী, চট্টগ্রাম



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন