বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, দলীয় কর্মীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ সংঘর্ষ বেঁধেছে। এসময় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের সাত থেকে আটজন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মী সাদ্দাম হোসেন হলের ২৩৫ নম্বর রুমে যান। এ সময় ছাত্রলীগের এক গ্রুপের কর্মী মোশাররফ হোসেন নীলের রুমের দরজায় সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা লাথি মারতে থাকে। পরে নীল রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় সাধারণ সম্পাদক রাকিব ও শিমুলের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের কর্মীরা নীল ও শিমুলকে মারধর করে। নীল একপর্যায়ে হল থেকে বেরিয়ে তার গ্রুপের নেতাকর্মীদের জানালে জিয়া মোড়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সুমনসহ অন্যরা জিয়া মোড় থেকে পালিয়ে যায়।
এর জের ধরে রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে অবস্থান নিয়ে মিছিল করতে থাকে। অপরদিকে ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা জিয়া মোড়ে অবস্থান নেন। এ সময় উভয় গ্রুপের কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে পরস্পরের দিকে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান। একপর্যায়ে শেখ রাসেল হলের সামনে এসে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা অন্য গ্রুপের ধাওয়া খেয়ে আবাসিক হলগুলোর ভেতরে গিয়ে কলাপসিবল গেট আটকে দেন। ঘটনার একপর্যায়ে জিয়া মোড়, লালন শাহ হল ও জিয়া হলের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও সহকারী প্রকটর এস এম নাসিমুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।