ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পুলিশ হেফাজতে বাবুল মিয়া (৫৫) নামে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। বাবুল উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের কোয়ারপুর গ্রামের মৃত লাল খাঁর ছেলে। অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাজেদুর রহমান জানান, রবিবার দুপুরে উপজেলার পূর্বভাগ গ্রামের পরোয়ানাভূক্ত আসামি বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর থানায় আনা হলে সন্ধ্যায় আবারও বুকে ব্যথা অনুভব হলে তাকে পুনরায় দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বাবুলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কোয়ারপুর গ্রামের বাজারের একটি কাঠের দোকান থেকে দুপুরের দিকে বাবুলকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় স্বজনরা পুলিশকে বাবুলের নামে থানায় কোন মামলা আছে কিনা জানতে চান। কিন্তু পুলিশ তখন কোন গ্রেফতারি পরোয়ান দেখাতে পারেনি। তবে তাকে ছাড়ার জন্য দারোগা শামীম ২০ হাজার টাকা উৎকোচ চেয়েছিল। এদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবরে নিহতের স্ত্রী আছিয়া বেগম বার বার জ্ঞান হারান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শোয়েব মোঃ শাহরিয়ার জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগের আক্রান্ত হয়ে বাবুল মিয়ার মৃত্যু হতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন (এসপি পদন্নোতিপ্রাপ্ত) বলেন, গ্রেফতার পরোয়ানা নিয়ে পুলিশ বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ অবস্থায় বাবুল মিয়ার মৃত্যু হলেও ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে পুলিশ বাবুলকে ছেড়ে দেয়ার জন্য পরিবারের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।