পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি শুক্রবার ভারতের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন যে, নয়াদিল্লী কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানাকর পরিস্থিতি ‘সাবকুচ ঠিক হ্যায়’ বা সবকিছু ভালোই চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে মন্তব্য করেছেন, সেটা সত্যি হলে কাশ্মীরে কারফিউ তুলে নিয়ে তিনি যেন শ্রীনগরে বৈঠক করে দেখান। পররাষ্ট্র অফিসে ক‚টনৈতিক মিশনের প্রধানদের ব্রিফিংয়ের সময় কোরেশি প্রশ্ন করেন, “কাশ্মীরে সবকিছু যদি ভালোই চলে, তাহলে কেন সেখানে কারফিউ জারি রয়েছে, কেন মিডিয়াকে সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না, কেন কেউ তাদের শিশুদের স্কুলে পাঠাচ্ছে না, কেন বহু ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে?” ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ক‚টনৈতিক কোরের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানালো ইসলামাবাদ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক‚টনীতিকদের বলেন যে, ভারত যে দাবি করেছে, বাস্তবতা তার উল্টা, পাকিস্তানের প্রাপ্ত তথ্য মতে, সেখানকার পরিস্থিতি ‘খুবই মারাত্মক’ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর কোন বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়নি মর্মে ভারত যে দাবি করেছে, ভারতের সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, “ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই যদি খুশি হয়ে থাকে, তাহলে মোদি কেন তিনি শ্রীনগর সফর করে সেখানে সরকারী বৈঠক করছেন না?” তিনি আরও বলেন যে, ভারত কাশ্মীরে যে দমন চালাচ্ছে এবং সেখানে যে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে, এটাই প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট যে কাশ্মীরের মানুষ নয়াদিল্লীর সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ভারত সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এরই মধ্যে আধা ডজন আবেদন দাখিল করা হয়েছে। কোরেশির মতে, এটা থেকে বোঝা যায় যে, এমনকি ভারতের ভেতরের লোকজনও মোদি সরকারের কাশ্মীর সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে। ভারতের সাথে উত্তেজনা পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের অবস্থান সম্পর্কে ক‚টনীতিকদের অবগত করেন তিনি। কোরেশি তাদেরকে বলেন যে, পাকিস্তান সবসময় ভারতের সাথে শান্তিপ‚র্ণ আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর ও অন্যান্য ইস্যুর সমাধান করতে চেয়েছে। কিন্তু, নয়াদিল্লী বারবার পাকিস্তানের আমন্ত্রণকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন যে, যুদ্ধ কোন সমাধান হতে পারে না। তিনি আরও বলেন যে, পারমাণবিক যুদ্ধের চিন্তা করলে সেটা হবে আত্মঘাতী। ইতোমধ্যে, অব্যাহত ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কোরেশি শুক্রবার ইউএন হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি চিঠি দেন, যেখানে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে (আইওকে) মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি এবং মানবিক সঙ্কটের বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।চিঠিতে ভারতের ৫ আগস্টের পদক্ষেপের প্রেক্ষাপট এবং এর পরিণতি সম্পর্কে বিশদভাবে উল্লেখ করা হয়। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।